রানা ইস্কান্দার রহমান গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ গাইবান্ধার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আয়া মোছা জুলেখা খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজ সোমবার (৭ আগষ্ট) সকালে প্রেসক্লাব গাইবান্ধায় পরিবারের লোকজন সঙ্গে নিয়ে বেতন-ভাতা চালুর দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, জুলেখা খাতুন অষ্টম শ্রেনির সনদ দিয়ে ১৯৯৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারীতে রামচন্দ্রপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝাড়ুদার কাম আয়া পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে অত্যান্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরবর্তীত্বে ২০০২ সালে এমপিও ভুক্ত হন। সেই থেকে বিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন জুলেখা। এরমধ্যে ২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার তালিকা হালনাগাদে) তথ্য সংগ্রহকারি জুলেখা খাতুনের আনুমানিক একটি জন্ম তারিখ লিখে দেন। পরবর্তীত্বে জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পেলে বয়সের অসংগতি দেখতে পান এবং জুলেখা খাতুনের স্কুল সাার্টফিকেট জন্ম তারিখের অমিল পরিলক্ষিত হয়। পরে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন জুলেখা খাতুন। এদিকে, জাতীয় পরিচয় পত্রের এ জটিলতাকে পুজি করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানে পায়তারা করছে। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের কথা বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলেখা খাতুনের কাছ থেকে প্রথমে ২০ হাজার ও অডিটের নামে ৫০ হাজার টাকা নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন না করে জুলেখা খাতুনের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়। র্দীঘ ১০ মাস থেকে বেতন বন্ধ থাকায় জুলেখা খাতুন পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শের আলম ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রেজাউল করিম তাজু মিলে জুলেখা খাতুনের ওই পদে অন্য কাউকে নিয়োগের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে চাকরি থেকে রিজাইন দিতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নানা ভাবে ভয়ভীতিসহ হুমকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে জুলেখা খাতুনকে বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন।
জুলেখা খাতুনের আয়ের একমাত্র অবলম্বন চাকরি। চাকরির বন্ধ বেতন-ভাতা উত্তোলনের ব্যবস্থাসহ প্রধান শিক্ষকের এমন আচারণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply