
মোঃ মুকুল হক স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ৩ নং দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি মিয়া পুর গ্রামের মোঃ সেরাজুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান কে গভীর রাতে নিজ বসত বাড়ি থেকে মব সৃষ্টি করে তুলে নিয়ে যায়। শাহাবাজ পুর একতা মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্য রা, এই সময় মোঃ সেরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা জাকিয়া বেগম বাধা দিলে মা’র ধোর শুরু করেন এবং বসত বাড়ি ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। মোঃ সেরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা জাকিয়া বেগমের আর্তচিৎকার প্রতিবেশীরা বেড়িয়ে এলে মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যদের হাতে থাকা লোহার রড, হাসুয়া সহ অন্যান্য দেশিও অস্ত্র দ্বারা প্রতিবেশীদের উপর চড়াও হয়। সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর তথ্য সূত্রে জানা যায়। মেহেদী হাসান কে অঙ্গাত স্থানে নিয়ে গিয়ে, দুই হাত এক পা ভেঙে দিয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে কেটে লবণ ও মরিচের গুঁড়া লাগানো হয়েছে। পরবর্তীতে শাহাবাজ পুর ইউনিয়নের মুসলিম পুর বাজারে শাহাবাজ পুর একতা মৎস্য সমবায় সমিতির অফিসের সামনে সরকারের নির্মিত যাত্রী ছাউনীতে নিয়ে যাওয়া হয়। মেহেদী হাসানের মা, মোসা জাকিয়া বেগম বলেন, ঘটনার তিন দিন আগে আমার ছেলের সাথে একোই গ্রামের মোজাম্মেল হক এর ছেলে মোঃ জনির সঙ্গে গোলাপ বাজার এলাকায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকাটি হয় এবং তিন দিনের মধ্যে কিছু একটা ঘটাবে বলে হুমকি প্রদান করেন। ঐ ঘটনার সূত্র ধরে কলা চুরির অপবাদ দিয়ে জনি সহকারে শাহাবাজ পুর একতা মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আমার ছেলের উপর এই অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। সরজমিনে এলাকাবাসীর তথ্য মতে ২৭/১০/২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে। জনি সহ শাহাবাজ পুর একতা মৎস্য সমবায় সমিতির ৩০/৪০ জন সদস্য মিলে। বাগবাড়ী মিয়া পুর গ্রামের মেহেদী কে নিজ বসত বাড়ি থেকে মব সৃষ্টি করে তুলে নিয়ে যায়। শাহাবাজ পুর একতা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি, আল মামুন মুঠোফোনে বলেন। মেহেদী কে কলা বাগানের পাশ্ববর্তী বিল থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে কিন্তু মারপিটের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এই বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেহেদী কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। মোঃ সেরাজুল ইসলাম একজন অসহায় ও দরিদ্র মানুষ হওয়ার কারণে ছেলে কে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ছেলে মেহেদী হাসান শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গ্রামবাসীর আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে ৩১/১০/২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ৩ নং দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের, বারিক বাজার ও বাগবাড়ী মিয়া পুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Leave a Reply