
স্টফ রিপোর্টারঃ মাদক মামলায় জামিন পেতে মরিয়া গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার সেতাবুর রহমান বাবু (৩৫)। চলতি বছরের জানুয়ারির ৩ তারিখে ১০০ গ্রাম হিরোইনের মামলা নিয়ে জেল হাজতে প্রবেশ করে গোদাগাড়ী উপজেলার শহড়াগাছী গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে সেতাবুর রহমান বাবু এবং তার দুই সহযোগী আলমগির (৪০) ও আবদুল্লাহ (৪০)। যার মামলা নাম্বার ৫/২৩ (জি.আর) এবং দায়রা নাম্বার ৬৬৩/২৩ গোদাগাড়ী। গ্রেফতারের পর থেকে জামিনে ছাড়া পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন সেতাবুর রহমান ওরফে বাবু মেম্বার।
মামলাটির তথ্য নিয়ে দেখা গেছে, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের বিজ্ঞ আদালতে এই মেম্বারের পক্ষে জামিনের জন্য প্রায় প্রতি মাসেই ২-৩ বার জামিন আবেদন করেছেন। কিন্তু ঐ আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আসামীর জামিন না মুঞ্জুর করেন। এরপর গত এপ্রিলের ৪ তারিখে মামলাটিকে বদলি করেন বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে, এবং ১৭ তারিখে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবারো জামিন না মুঞ্জুর করেন এবং মে মাসের ৩ তারিখে চার্জ ও ১৭ তারিখে বিচার কার্য শুরু হলে এক প্রেসকারের সাথে চুক্তবদ্ধ হয়ে মামলাটিকে আবারো বদলির সিদ্ধান্ত নেয়। পরে জুন মাসের ৬ তারিখে মামলাটিকে আবারো বদলি করের জননিরাপত্তা বিজ্ঞ আদালতে। এই আদালতের দিন ধার্য্য হয় ২৬ জুন। আর এর জন্য ঐ মেম্বার পরিবারকে গুনতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, মামলাটির জামিন করাতে পরিবারের সাথে চুক্তি হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে১৬ লক্ষ টাকা।
তবে আদালত কর্মকর্তাদের এহেন কার্যক্রমকে কুট দৃষ্টিতে দেখছেন সুশীল সমাজ। তারা বলছেন একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা হওয়া নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন আমরা। জনপ্রতিনিধি যদি এমন কার্যকলাপে যুক্ত হয় তাহলে সাধারণরা যাবে কোথায়? মাদক মামলা নিয়ে গোদাগাড়ীর কয়েকটি মেম্বার হাজত বাস করছে। এখন ওয়ার্ড গুলোতে নাগরিক সেবা পাচ্ছেনা জনগণ। এবিষয়ে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক শাহানা আক্তার জাহানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ইতিমধ্যে জেনেছি। তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে। যেহেতু মাসলা বিচারাধিন রয়েছে সেজন্য কোন সিদ্ধান্তই বলা যাবেনা। তবে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা খুবই দুঃখজনক।
বি:দ্র: অনৈতিক সুবিধা নিয়ে জামিন সিন্ডিকেটের অনুসন্ধান চলছে। যা আগামী তুলে ধরা হবে
Leave a Reply