শিরোনাম :
যশোরে সিআইডি সদস্যদের ওপর হামলা ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও প্রকাশ্যে হামলার অভিযোগ কালীগঞ্জে চুরি করে বেশি দামে অন্যত্র সার বিক্রি, জরিমানা ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটি ঘোষণা নানান আয়োজনে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কক্সবাজারে তরুণ সাংবাদিক নুরুল আমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর পক্ষ থেকে মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি। নওগাঁ-১ আসনে ইসলামি আন্দোলনের সদস্য-কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত গলাচিপায় আদালত ভবন থাকলেও দেওয়ানী মামলা চলছে পটুয়াখালীতে বহিষ্কৃত এসআই মাহবুব হাসান ২ দিনের রিমান্ডে ঢাকার উত্তরায় খাল পরিষ্কার অভিযান গলাচিপায় রাস্তার অর্ধসমাপ্ত কাজের জটিলতা: ঠিকাদারের উদাসীনতায় জনদুর্ভোগ চরমে

জাফলং সীমান্তে বেপরোয়া চাঁদাবাজি নেতৃত্বে জয়দুল ও জাহাঙ্গীর সিন্ডিকেট,,,

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৩৮ বার পঠিত

সিলেট জেলা ব্যুরো প্রধান, ফয়ছল কাদির::- জাফলং সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাচ্ছে দেশের সম্পদ: বিজিবি-পুলিশের নামে লাখ লাখ টাকা আদায়

সিলেটের গোয়াইনঘাট জাফলং ও তামাবিলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে এই মটর শুঁটির পাচার। ভারতে এই পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিগত কয়েক মাস ধরে মটর শুঁটির পাচার বেড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। তাই দেশী সম্পদ নির্বিঘ্নেই পাচার করছে চোরাকারবারিরা। আর এ সকল চোরাকারবারিদের নেতৃত্ব দিচ্ছে পুলিশ-বিজিবির অবৈধ টাকার লাইনম্যান শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্ধা যুবদল নেতা জয়দুল, সোনাটিলা টিলা এলাকার বাসিন্ধা জাহাঙ্গীর মিয়া,ও এই চক্রটি পুলিশ-বিজিবির নামে প্রতি রাতে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে।
এই চক্রে সাথে রয়েছেন, বিজিবির লাইনম্যান খোরশেদ মিয়া, আবুল কালাম,ও রুবেল। এদের মধ্যে রুবেল কিছুদিন আগেও সীমান্তে চাঁদাবাজির বাট বাটোয়ারা থেকে বঞ্চিত ছিলো কিন্তু স্থানীয়রা জানায় রুবেল কখনো লাইনম্যান কখনো সাংবাদিক কখনো প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার আত্নীয় পরিচয় দিয়ে আবার নতুন কৌশল অবলম্বন করে সীমান্ত এলাকায় চাঁদাবাজিতে সুযোগ সুবিধা আদায় করে তাঁর নেতৃত্বও রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নলজুরী বাজার, তামাবিল স্থলবন্দর, সোনাটিলা, গুচ্ছগ্রাম, সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের নিচে মালেকের ঘাট, বল্লাঘাট জিরো পয়েন্ট, লামা পুঞ্জি, লন্ডনী বাজার সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতে পাচার হচ্ছে মটরশুঁটির, দেশী সুপারি, সাদা পাতা, শুটকি, প্লাস্টিক পণ্য। আর ভারত থেকে দেশে আসছে গরু-মহিষ, কসমেটিক্স, মাদক ও সিগারেট ইত্যাদি। এই ভারতীয় কসমেটিক্স এ সয়লাভ জাফলং পিকনিক সেন্টারের দোকান গুলো। কোনদিন-ই এই দোকান গুলোতে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালায়নি। দোকান গুলো বিজিবি ক্যাম্পের সামনে হলেও তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
ভারতী পণ্যের বিরুদ্ধে পুলিশ-বিজিবি নিরব ভূমিকা পালন করলেও র‍্যাব-৯ এর অভিযানে মাঝেমধ্যেই আটক হচ্ছে ভারত থেকে দেশে আসা কসমেটিকস্, মাদক ও সিগারেট। কিন্তু এই লাইনম্যান চক্রের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। যার ফলে এই চক্রটি দিন দিন আরও ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা স্থানীয় বিজিবি-পুলিশের হয়ে চোরাকারবারিদের নিকট থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করছে তারা। লাইনম্যান জয়দুল, জাহাঙ্গীর মিয়া ও রুবেল তারা তাদের নিজস্ব লোকের মাধ্যমে ও তারা নিজেরা গিয়ে রাতের আধারে চোরাকারবারিদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে। তাদেরকে টাকা না দিলে তারা বিজিবি ও পুলিশ দিয়ে মালামাল আটক করিয়ে দেয় এমন অভিযোগ চোরাকারবারিদের। প্রতিদিন রাত ৩টা থেকে শুরু দেশী মাল ভারতে পাচার। আর ভোর হলেই সেই লেবারগণ দেশে ফেরার সময় শুরু করেন ভারতীয় মালামাল পাচার। এভাবেই চলছে জাফলং সীমান্ত দিয়ে অবৈধ মালামাল পাচারের হিড়িক।
স্থানীয়রা জানান, এই লাইনম্যান চক্রের প্রধান হলেন বিএনপি-র যুবদল নেতা জয়দুল। তিনি ক্যাডার বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য তার সিন্ডিকেট চক্রের প্রভাব খাঁটিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে এবং তাদের কাছ থেকে ভারতে মালামাল পাচারের লাইন নিয়ে এ সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। অপরজন হলেন আসু মিয়ার, ছেলে রুবেল মিয়া যিনি গোয়াইনঘাট থানায় ওসি দেলোয়ার ও আব্দুল হাইয়ের আমলে কয়েক বার গ্রেফতার হয়েছেন এই চোরাচালানের দায়ে। কিন্তু যত বার তিনি আটক হয়েছেন ততবার তার লোকজন ওসিদের সাথে রহম দহম করে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। সম্প্রতি তাঁরা দুই ভাই ট্যুরিস্ট-পুলিশের উপর হামলা করে। তার এই সন্ত্রাস দুই ভাইয়ের ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। অন্যজন হলো নামধারী সংবাদকর্মী ও রুবেল আহমদ। তিনি মানুষকে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে এমন কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। তার আবার কিছু অসাধু প্রশাসনের লোকজনের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এসকল চাপাবাজরা জাফলং এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা চাপাবাঁজি করে পুলিশ-বিজিবির কাছ থেকে লাইন নিয়ে চোরাকারবারিদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ভারতে পাচার করছে দেশের মূল্যবান সম্পদ ও দেশে আসছে ভারতীয় মাদক দ্রব্য।ভারতীয় চোরাচালান বন্ধে ও বিজিবি-পুলিশের অবৈধ টাকার লাইনম্যান জয়দুল, জাহাঙ্গীর মিয়া ও রুবেল আহমদ এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন জাফলংয়ের সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব এর কাছ থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ রকম কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসে নাই, তিনি আরো বলেন সীমান্ত এলাকার বিষয়গুলো জানতে হলে সীমান্ত এলাকার বিজিবির কাছ থেকে জানার জন্য ।

তারপর এব্যাপারে তামাবিল স্থল বন্দরের বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এরকম কোন চোরাচালান আমাদের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে না এবং পাচার ও হচ্ছে না, এবং বিজিবির লাইনম্যান খোরশেদ মিয়ার বিরুদ্ধে কিছু তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে পৌঁছেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার বলেন খোরশেদ মিয়া নামের কাউকে আমি চিনিনা তবে আমি এ বিষয়ে কে বা কারা জড়িত খোঁজ নিয়ে দেখতেছি বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com