শিরোনাম :
মিরপুর দুয়ারিপাড়ায় সাংবাদিক এস. এম. রফিককে প্রাণনাশের হুমকি: বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা: লোকাল বাসের সাথে পাখি ভ্যানের সংঘর্ষে আহত ২ জন গলাচিপায় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত শিল্পীরা কালীগঞ্জে চুরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগে জরিমানা রূপনগর হাই স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে খেলাধুলা অপরিহার্য – আমিনুল হক ছড়াকার সুকুমার রায়ের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত ঘুষ ও দালাল চক্রের ভিডিও ধারণের সময় সংবাদকর্মীর মোবাইল ছিনিয়ে নিলেন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রেস বিজ্ঞপ্তি ৪০ বছর পর জামায়াত নেতার হাতধরে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তির অবসানের বার্তা। রাংগাবালীতে ঝুঁকিপূর্ণ টিনসেট আদালত, যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ

মোঃ ফিরোজ মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
  • ১২৩ বার পঠিত

নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ

মোঃ ফিরোজ মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টার

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ইংলিশ টিচার এর নিজের অনিয়ম অপরাধ ঢাকার জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা যায় উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ইংলিশ টিচার আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে নিজের দোষ কাটানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও প্রচারণা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ তালাশের একটি টিম সূত্র ধরে এ বিষয়ে কথা বলেন এলাকার স্থানীয় মোস্তাকিম হোসেন। তার সঙ্গে তিনি বলেন ইংলিশ টিচার আবুল কালাম আজাদ এই প্রতিষ্ঠানের ইংলিশ টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছেন কিন্তু তিনি সময়মতো ক্লাস নেন না, নিয়মিত মাদ্রাসায় হাজির থাকেন না। শুধু তাই না আবুল কালাম আজাদ কিছুদিন আগে একটি নিয়োগ পরীক্ষার ঠিক একদিন আগে সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল ইসলামকে ২৫ লক্ষ টাকার ঘুষ প্রদানের অফার করেন কিন্তু সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদের এই ঘুষ প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন। এতে জনাব আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় শিষ্ঠাচার বহির্ভুত গালিগালাজ করেন যা চাকুরীবিধিমালায় মৌলিক অসদাচারন এর মধ্যে পড়ে।এতে সভাপতি তৎক্ষনাৎ জনাব আবুল কালামকে একাডেমিক অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অপসারন করেন। এতে জনাব আবুল কালাম আজাদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন সভাপতিকে আরো জোরালো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্তক্রমে জনাব আবুল কালাম কে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্ত, জনাব আবুল কালাম আজাদ কে করা শোকজ ও জনাব আবুল কালামের শোকজের জবাব ও তার সাথে কথা বার্তা পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, জনাব আবুল কালামের উদ্ধতঃপূর্ণ আচরন ও মৌলিক অসদাচারনের বিষয়টি অতি স্পষ্ট। যা কিনা চাকুরী বিধিমালার মৌলিক বিধির লঙ্ঘন। জনাব আবুল কালাম আজাদ সভাপতির বিরুদ্ধে যে একটি অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর, তার অভিযোগের প্রতিটি পয়েন্ট ধরে বিশ্লেষন করে এগিয়ে গেলে দেখা যায় যে, অভিযোগগুলি তিনি রাগের বশবর্তি হয়ে সভাপতিকে হেয় করার উদ্দেশ্যে করেছেন ও এখনো করেই যাচ্ছেন। জনাব আবুল কালামের সাথে কথা বললে তার আচরনে এমনটিই ধরা পড়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আবুল কালাম আজাদের আবেদনের বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলার শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন কিন্তু তদন্ত অফিসার তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়াই প্রতিবেদনটি বাতিল করেন। এ বিষয়ে শাকিল হোসেন বলেন, “কে শুনে কার কথা দুর্নীতি করলেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শত শত মানুষের টাকা। ভাগ বাটোয়ারা না পাওয়াই আবু কালাম আজাদ অভিযোগ করলেন সভাপতির বিরুদ্ধে; কিন্তু কথায় আছে না, অপরাধ যে করে সাজা তাকে ভোগ করতে হয়, আবুল কালাম এতই ভালো মানুষ হবে তাহলে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পাওয়ার পরও কেন দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না। তিনি তার কথায় কথায় উঠে আসে যে, সেই দিনের কথা ২৫ লক্ষ টাকার ক্যান্ডিডেট নিয়ে এসে আবেদন না করেই পরীক্ষার হলের পাশ চেয়েছিলেন তিনি সভাপতির কাছে। সভাপতি পাস না দেওয়াই মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু করলেন তিনি। অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা যায়, এই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নুরুল ইসলাম খোদাদাদ কে এই ইংলিশ প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ গায়ে হাত তুলেছিলেন। এখানে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায় তিনি কি শিক্ষক না একজন ক্যাডার? সংবিধানের আইনে কি বলে? একজন সহকারী শিক্ষক কি আরেকজন উদ্ধতম কর্মকর্তা প্রিন্সিপালের গায়ে হাত তুলতে পারেন? সংবিধানের কোন পাতায় লেখা নাই। কথা হয় আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে, নিজের দোষ এড়ানোর জন্য সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরেই উল্টো পাল্টা কথা বলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নেতা তার পকেটে থাকে বলে দাবী করেন। তার এ বিষয়ে কয়েকজন রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন যে, চোরে বলে ধর্মের কথা, আবুল কালাম আজাদ নিজেই অপরাধ করে আবার অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়। তিনি নিজেই তো ঠিকমত ক্লাসে আসেন সাত দিন পরে, সিগনেচার করে বেতন উঠায়, সে বলে আবার নীতির বাক্য বলে জানান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com