নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারা দেশে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, সবজি ও ডিম। ভারত থেকে আমদানি করায় কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও এখনো এটি ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। প্রত্যেক জেলার অনেক জায়গায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম ও সবজির দাম। ব্যবসায়ীর বলছেন, বন্যার কারণে উৎপাদন সংকটের কারণে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে কমছে না পণ্যের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছেন তারা। জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বাজারগুলোর এমন চিত্র পাওয়া যায়।
বরিশাল
বরিশালের কমেনি সবজির দাম। পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এখনও ৩৫০ টাকার নিচে মিলছে না কাঁচামরিচ। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না ডিমও। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।
বরিশালের কমেনি সবজির দাম।
বরিশালের কমেনি সবজির দাম।
সরেজমিনে জেলার বাজার ঘুরে জানা যায়, বাজারে কাঁচামরিচ ৩৫০, কাঁকরোল ৮০-৯০ বরবটি ১৬০, টমেটো ২৮০-৩০০, গাজর ১৮০, করলা ৮০, বেগুন ১৬০, শসা ৬০-৭০, পটল ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবজির দাম কমছে না। বাজার মনিটরিং করলে দাম কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা তাদের। আর বিক্রেতারা বলছেন, বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহের মতোই এ সপ্তাহে ব্রয়লার ১৮৫, সোনালি ২৬০, লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মুদি বাজারে পেঁয়াজ ১০০-১১০ আলু ৫৫ টাকা ও ডিম ৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফরিদপুরে প্রতিদিনই কাঁচাবাজারগুলোতে দামের উঠানামা করছে।
ফরিদপুর
ফরিদপুরে প্রতিদিনই কাঁচাবাজারগুলোতে দামের উঠানামা করছে। আর বাজারে সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
শুক্রবার সকালে হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারে একদিনের ব্যবধানে কাচামরিচে দাম বেড়েছে কেজিতে এক শ টাকা। গতকাল কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ ৩ থেকে ৩২০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু ৬০ টাকা, পটল, করলা ৮০, বেগুন ১০০, পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে ডিমের দাম সামান্য কমলেও সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রি হচ্ছে না।
এদিকে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ করছে ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি অতিবৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজির খেত নষ্ট হয়েছে। কাঁচা শ্বাক-সবজির দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতারা বাজারে এসে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকির মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে ক্রেতারা।
নরসিংদীতে বেড়েছে চাল, রসুন, মসলাসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম।
নরসিংদী
নরসিংদীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে কিছুটা কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে বেড়েছে চাল, রসুন, মসলাসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম। সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম।
এ ছাড়া এলাচের দাম গেল সপ্তাহে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে তা লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। কয়েক দফার টানা বৃষ্টিতে ফসলের জমি নষ্ট হওয়ায় শীতকালীন আগাম শাকসবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ার কারণ বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। তবে বৃষ্টিপাত কমে আসায় সবজির দাম কমে আসছে বলে জানান তারা।
নরসিংদীতে উৎপাদিত শাকসবজি আশপাশের জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় ঢাকার বাজারে, রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশেও। চলতি মৌসুমে কয়েক দফার টানা বৃষ্টিতে বীজতলা ও সবজির জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে আসতে সময় লাগছে শীতকালীন আগাম শাকসবজি। টানা বৃষ্টিতে জেলার ৫ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে। এতে স্থানীয়ভাবেই দেখা দিয়েছে সবজির ঘাটতি।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাউ, সিম, ঢেড়স, বেগুন, বরবটি, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়াসহ সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম দামে। কমেছে কাঁচামরিচ ও টমেটোর দাম। গেল সপ্তাহে বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি ৭০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হলে এই সপ্তাহে নেমে এসেছে ৬০-১০০ টাকায়। এদিকে এখনও নাগালের মধ্যে সবজির বাজার আসেনি বলে দাবি ক্রেতাদের।
পাইকারি বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে গিয়ে লাভ কমেছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে আগামী দুই সপ্তাহ বড় ধরনের বৃষ্টিপাত না হলে শীতকালীন আগাম সবজির সরবরাহ কিছু বাড়লে দাম আরও কমে আসবে বলে প্রত্যাশা ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
আমদানি করায় মেহেরপুরে কাঁচামরিচ ৪০ টাকা কমে আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।
আমদানি করায় মেহেরপুরে কাঁচামরিচ ৪০ টাকা কমে আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।
মেহেরপুর
তিন দিন আগে মেহেরপুরের বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করায় ৪০ টাকা কমে আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়। আলু ৬০ টাকা কেজি, আর পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে মেহেরপুরে। আলু, পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ভারত থেকে আমদানির পর কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচের দাম। সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরবরাহের অযুহাতে প্রতিনয়িত বাড়ছে সবজির দাম।
এক ক্রেতা বলেন, ‘সাধারণ সংসার চালাতে গেলে আলু, পেঁয়াজ, রসুন তেলসহ যাবতীয় পণ্য লাগে। এসব কিনতেই ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা লাগে। সবজি কীভাবে কিনব, নাকি আমিষের চাহিদা মেটাবো কীভাবে! কীভাবে কি করব! আমাদের চলা মুশকিল।
মুন্সিগঞ্জে প্রতিদিনই মাছ, মাংস ও শাক-সবজির দাম লাফিয়ে বাড়ছে।
মুন্সিগঞ্জে প্রতিদিনই মাছ, মাংস ও শাক-সবজির দাম লাফিয়ে বাড়ছে।
মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জে নিত্যপণ্যের বাজারে চরম অস্থিরতা চলছে। প্রতিদিনই মাছ, মাংস ও শাক-সবজির দাম লাফিয়ে বাড়ছে। বাজারে নৈরাজ্যের কারণ হিসেবে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন ভোক্তারা।
ভোক্তাদের দাবি, গত কয়েকদিনে মুন্সিগঞ্জের প্রতিটি বাজারে কাঁচা বাজারে সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। আর শীতকালীন সবজির দাম আকাশচুম্বী। অচিরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ চান ভোক্তা সাধারণ। আজ শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় বাজারসহ সদরের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে বাজারের লাগাম টানা যাবে না। সরকার ১১ দশমিক ৮৭ পয়সা বেঁধে দিলেও বাজারে প্রতি পিচ ১৫ টাকায় এবং এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
বাজারে কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা, শীতকালীন সবজি শিম ৪৮০ টাকা এবং নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে মাছ ও মুরগির দামও বেড়েছে।
এদিকে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা এবং কাঁচামরিচ কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে একদিনের ব্যবধান বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সিলেটে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।
সিলেটে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।
সিলেট
সিলেটে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে, কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, শিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়।
ডিম ও মাংসের দামও চড়া। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা হালিতে। বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, খাসীর মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে।
খুলনার বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম, কমেনি ডিমের দাম।
খুলনার বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম, কমেনি ডিমের দাম।
খুলনা
খুলনার বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম, কমেনি ডিমের দাম। ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম। খুলনার বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়ে পেঁপে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা ৬৫ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কমেনি ডিমের দাম। ডিমের দাম ডজনে ১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৮০ টাকা। তবে কেজিতে ১০০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা। বাজারে মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এনং চিকন চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ।
বগুড়ায় কাঁচাবাজারের দাম নিয়ে অস্থিরতা এখনও কাটেনি ক্রেতা-ভোক্তাদের মাঝে।
বগুড়ায় কাঁচাবাজারের দাম নিয়ে অস্থিরতা এখনও কাটেনি ক্রেতা-ভোক্তাদের মাঝে।
বগুড়া
বগুড়ায় কাঁচাবাজারের দাম নিয়ে অস্থিরতা এখনও কাটেনি ক্রেতা-ভোক্তাদের মাঝে। ব্যবসায়িদের অতি মুনাফার প্রবণতা ঠেকাতে পারছেন না ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আমদানির খবরে কাঁচামরিচের দাম গতকাল ২৪০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ ৩৬০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পটল, আলু ছাড়া বেশিরভাগ শাকসবজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। বেগুন ১২০, টমেটো ২৮০, পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সহনীয় পর্যায়ে না থাকলেও মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছ।
বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন এবং আমদানি কম হওয়ায় বাজার কমছে না। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা আর সোনালি মুরগি ২৯০ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না ডিম। প্রতি হালি ডিম খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৬ টাকায় আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়।
ক্রেতারা জানান, দিনের পর দিন বাজারের এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অসাধু ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন তারা।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গেল সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম। অসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় দাম কমতির দিকে বলছেন বিক্রেতারা। আর ডিমের বাজার তদারকির পর আজ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করা যাবে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
শুক্রবার সকালে নগরীর নানা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কিছু সবজির দাম। গেল সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া বরবটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, ৪০ টাকা কমে করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, ১৬০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০।
এদিকে ডিমের বাজারেও ফিরেছে স্বস্তি। আজ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করার কথা বলছেন খুচরা বিক্রেতারা। পাইকাররা আইন মানছে বলে এমন স্বস্তি বলছেন খুচরা বিক্রেতাদের।
Leave a Reply