যশোর প্রতিনিধি: হারুন অর রশিদ (রাজু)
যশোর রাজারহাট মোড়ে দায়িত্ব পালনকালে সিআইডি সদস্যরা ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও তার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কীভাবে ঘটলো হামলা?
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে তাকে আটক করে। আটক করার পরপরই তুষার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চিৎকার শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত হয়ে তার অনুসারীরা চারপাশ থেকে জড়ো হয়।
সাক্ষীরা জানান, সিআইডি পরিচয়পত্র দেখালেও তুষার ও তার সহযোগীরা বিশ্বাস না করে সিআইডি সদস্যদের “ভুয়া পুলিশ” বলে প্রচার করতে থাকে। এতে উৎসুক জনতা বিভ্রান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুষার ও তার বাহিনী সিআইডি সদস্যদের ওপর অপ্রতিরোধ্য হামলা চালায়।
প্রকাশ্যে মারধর, ভয়ে নীরব জনতা
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, তুষারের প্রভাবের কারণে সাধারণ মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারেনি। যারা বাধা দিতে এগিয়ে গিয়েছিল, তাদেরকেও তুষারের বাহিনী “ইয়াবা ব্যবসায়ী” বলে দোষারোপ করে। এতে কেউ সিআইডির পাশে দাঁড়ানোর সাহস পায়নি।
ডিবি পুলিশের হস্তক্ষেপে রক্ষা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিআইডি সদস্যদের উদ্ধার করে। পরে আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকায় চাঞ্চল্য ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন
এ ঘটনার পর যশোর শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—
“একজন মাদক ব্যবসায়ী ছাত্রলীগ নেতা কীভাবে এতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠলো যে প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও মারধর করার সাহস দেখায়?”
প্রশাসনের নীরব ভূমিকা
ঘটনার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তুষার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সে আইনের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
একজন স্থানীয় প্রবীণ বলেন—
“তুষারের কারণে এলাকাটা দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
পরবর্তী ব্যবস্থা কী?
যশোরে সিআইডি সদস্যদের ওপর হামলা
ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও প্রকাশ্যে হামলার অভিযোগ
যশোর প্রতিনিধি:
যশোর রাজারহাট মোড়ে দায়িত্ব পালনকালে সিআইডি সদস্যরা ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও তার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কীভাবে ঘটলো হামলা?
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে তাকে আটক করে। আটক করার পরপরই তুষার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চিৎকার শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত হয়ে তার অনুসারীরা চারপাশ থেকে জড়ো হয়।
সাক্ষীরা জানান, সিআইডি পরিচয়পত্র দেখালেও তুষার ও তার সহযোগীরা বিশ্বাস না করে সিআইডি সদস্যদের “ভুয়া পুলিশ” বলে প্রচার করতে থাকে। এতে উৎসুক জনতা বিভ্রান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুষার ও তার বাহিনী সিআইডি সদস্যদের ওপর অপ্রতিরোধ্য হামলা চালায়।
প্রকাশ্যে মারধর, ভয়ে নীরব জনতা
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, তুষারের প্রভাবের কারণে সাধারণ মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারেনি। যারা বাধা দিতে এগিয়ে গিয়েছিল, তাদেরকেও তুষারের বাহিনী “ইয়াবা ব্যবসায়ী” বলে দোষারোপ করে। এতে কেউ সিআইডির পাশে দাঁড়ানোর সাহস পায়নি।
ডিবি পুলিশের হস্তক্ষেপে রক্ষা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিআইডি সদস্যদের উদ্ধার করে। পরে আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকায় চাঞ্চল্য ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন
এ ঘটনার পর যশোর শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—
“একজন মাদক ব্যবসায়ী ছাত্রলীগ নেতা কীভাবে এতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠলো যে প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও মারধর করার সাহস দেখায়?”
প্রশাসনের নীরব ভূমিকা
ঘটনার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তুষার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সে আইনের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
একজন স্থানীয় প্রবীণ বলেন—
“তুষারের কারণে এলাকাটা দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
পরবর্তী ব্যবস্থা কী?
এ ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply