শিরোনাম :
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা মেহেরপুরের জামাল জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি লুৎফর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় মানববন্ধন মনপুরায় জেলেকে নৌকার দাদন টাকা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩ মনপুরায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গরু ঘরে অগ্নিসংযোগ, আতঙ্কে স্থানীয়রা বর্তমান সংকটের সমাধান নবীজির শিক্ষা সম্পাদকীয় আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র, অনন্য ও শিক্ষণীয়। এ দিনে জন্ম নেন বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন। নবীজির আগমন ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সময়ে।বাংলাদেশ আজ গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস ফেলছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিভাজন, হানাহানি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর নৈতিক অবক্ষয়। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। দোকানের তাক থেকে চাল, ডাল, তেল—প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়েও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। তরুণ প্রজন্ম কাজের অভাবে হতাশ, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে মাদক, অপরাধ ও সহিংসতার প্রলয়।এই সংকটে আমরা ভুলে যাই সেই আলোর পথে, যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন—রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি এসেছিলেন এমন এক সমাজে, যেখানে গোত্রবিভাজন, মিথ্যা, নারীর অবমাননা, দারিদ্র্য, নিপীড়ন ও সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন সত্য, ন্যায়, দয়া ও মানবতার পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ বয়ে আনে।” আজকের বাংলাদেশে যদি আমরা তাঁর এই শিক্ষার অনুসরণ করি, তবে সমাজে স্বার্থপরতা, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।সাংবাদিকরা যখন সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতনের মুখোমুখি হন, তখন নবীজির শিক্ষা আমাদের শেখায়—সত্যের পথে থাকা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী হওয়া। তিনি বলেছেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো অন্যায় শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” সাংবাদিকরা দেশের ন্যায়বিচার রক্ষায় যে ভূমিকা রাখেন, তা নবীজির দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই মহৎ।রাজনীতিতেও আমাদের শিক্ষা প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য লড়াই, প্রতিশোধ, হিংসা—এগুলো জাতিকে ক্ষয় করছে। অথচ নবীজি মক্কা বিজয়ের দিন শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজকের নেতারা যদি তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতেন, সংলাপ ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত।অর্থনীতি এবং শ্রমিক অধিকারেও নবীজির শিক্ষা অসাধারণ। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করো।” শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসলের সঠিক দাম, প্রবাসীর রেমিট্যান্সের মর্যাদা—এসবই নবীজির শিক্ষার বাস্তবায়ন।নবীজির জীবন থেকে আমরা আরও শিখি মানবিক সহমর্মিতা। তিনি শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন, দুর্বলকে রক্ষা করেছিলেন। অথচ আমাদের সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্য বেড়েছে। দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—এসবই নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানেই শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়; বরং তা সামাজিক ন্যায়বিচার, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার যুগে এ শিক্ষা গ্রহণই পারে আমাদেরকে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে। আজ, ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই দিনটি কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন। যদি আমরা তাঁর জীবন ও শিক্ষাকে না বুঝি, তবে দুর্নীতি, সহিংসতা ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমরা সত্যিই তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি—রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাধারণ মানুষের জীবন সবক্ষেত্রে—তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির দেশ। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কেবল ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও কর্মপ্রেরণার দিন। নবীজির (সা.) শিক্ষা বাস্তবায়ন করলেই— রাজনৈতিক সংকট কাটবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে সুষম বণ্টন ও জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে সহনশীলতা ও মানবপ্রেমের মাধ্যমে। আজকের আহ্বান: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে—সংকটমুক্ত জাতি গড়ার একমাত্র পথ তাঁর জীবন ও শিক্ষার অনুসরণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত— রাজনৈতিক নেতা হোক ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ণ, অর্থনীতির নিয়ম হোক ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত, সাংবাদিক হোক সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ, সাধারণ মানুষ হোক সততা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা—এটাই হতে পারে আমাদের দেশের অন্ধকার থেকে মুক্তির একমাত্র আলো। আমরা বিশ্বাস করি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিশ্ব, বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ, দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও অস্থির তরুণ প্রজন্ম—সব সমস্যার সমাধান রয়েছে নবীজির দেখানো পথে। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। কেবল তখনই মানবতা সত্যিকারের মুক্তি পাবে।আজকের পৃথিবী যেন নানা সংকটে ঘেরা—যুদ্ধ, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয়—এসব আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মুসলিম বিশ্বও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। অথচ আমাদের সামনে রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক যুগে আগমন করেছিলেন, যখন আরব সমাজ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। গোত্রবাদ, অবিচার, নারী নিপীড়ন, মিথ্যা প্রতিযোগিতা আর সহিংসতায় জর্জরিত ছিল গোটা সমাজ। ঠিক সেখানেই তিনি ন্যায়, সাম্য, দয়া, ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার আচার-আচরণে উত্তম।” আজকের সমাজে এই বাণীই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সংকটে আমরা দেখি—ক্ষমত জাতীয়করণের দাবিতে রাজশাহীতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের সমাবেশ খুলনায় সাংবাদিক বুলুর রহস্যজনক মৃত্যুর অধিকতর তদন্তের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন সংবাদদাতা মোঃ রুবেল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাব ও বাংলাদেশ ভূমিহীন গৃহহীন হাউজিং লিঃ উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

যশোর বিআরটিএ র’ রিফাত হোসাইনের বিরুদ্ধে ৮৫০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ও সাংবাদিকে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছে: রিফাত ক্ষমতার উৎস কি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোর বিআরটিএ র’ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনের বিরুদ্ধে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চাওয়ারক অভিযোগ উঠেছে পাশাপাশি সাংবাদিকে নিউজ প্রকাশ করার কারণে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছে রিফাত হোসাইন।

এই মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে আসছে। এর আগে ও তার নামে নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে। রিফাত হোসাইন তার কিছু দালালদের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ অফিসের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে এই রিফাত হোসাইন কোন ভাবেই তার দুর্নীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। অনিয়ম দুর্নীতির পাশাপাশি সে জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি ও দিয়েছে। তার অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের বিষয় নিউজ প্রকাশ করায় অনুসন্ধান টিমের এক সাংবাদিকে ডেকে নিয়ে নিউজ বন্ধ না করলে হাত পা ভেঙে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে।

সে আরো বলেন যে সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করলে সে নাকি সেই সাংবাদিকের হাত পা ভেঙে দিবেন, একজন সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে সে কর্মরত রয়েছেন। সাংবাদিকদের কাছে তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নিউজ প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে। সে ফিটনেস বিহীন গাড়িকে ফিটনেস হিসেবে কাগজপত্র পাস করে দিয়ে থাকেন। জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিম যশোর বিআরটিএ র’ অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন ও মুন্সী আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠে আসে এরই ধারাবাহিকতায় অফিস সহয়ক মুন্সী আব্দুল আলীমের নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এবার প্রকাশ করা হচ্ছে। রিফাত হোসাইনের বিরুদ্ধে সে একজন যশোর বিআরটিএ র’ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। রিফাত হোসাইন সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছে পরীক্ষার মাঠ থেকে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন কিন্তু সেই ব্যক্তি টাকা না দেওয়ার কারণে তাকে পরীক্ষায় ফেল করে দিয়েছে এই ধরনের একটা তথ্য আমাদের জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের হাতে এসে পৌঁছায়। সেই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং করে আসছেন তার লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করলে পরীক্ষা দেওয়ার তারিখ তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত তারিখে সে পরীক্ষা দিতে মাঠে আসেন, মাঠে আসলে ওই মুহূর্তে রিফাত হোসাইনের সাথে কথা বলেন ওই ব্যক্তি যখন তাকে বলেন যে স্যার আমি পরীক্ষা দিতে আসছি তখন রিফাত হোসাইন তাকে বলেন যে আপনি কার মাধ্যমে আসছেন,সে তখন বলে স্যার আমি কারোর মাধ্যমে আসিনি নিজেই আসছি তখন রিফাত হোসাইন তাকে বলে যে আপনাকে পাস করে দেওয়া হবে কিন্তু আমাকে ৮৫০০/টাকা দিতে হবে। তিনি বলেন যে স্যার আমি গরীব মানুষ সাধারণ ভাবে ড্রাইভিং করে ফ্যামিলি নিয়ে চলি আমি স্যার এত টাকা কিভাবে দিব তখন রিফাত হোসাইন বলে আপনি যদি টাকা না দেন তাহলে আপনাকে পরীক্ষাতে ফেল করে দেওয়া হবে। একথা শুনে ওই ভুক্তভোগী পরীক্ষা দিয়ে চলে যায়। পরের দিন তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় সে পরীক্ষায় ফেল করেছে। এই ভুক্তভোগী জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের সাথে ফোনে কথা বলেন, সে ফোনে বলেন আমি প্রথমে অফিসে যায় অফিস থেকে ও মুন্সী আব্দুল আলীম নামে একজন আমার কাছে ৮০০০/ টাকা ঘুষ চায় তাকেও আমি কোন কিছু না বলে চলে আসি। পরে আবেদন কপি নিয়ে পরীক্ষার মাঠে যায় সেখানে ও এই সরকারি কর্মকর্তা রিফাত হোসাইন আমার কাছে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চায়। যখন ঘুষ চেয়েছে তখন তাকে আমি বলেছিলাম যে স্যার আমি গরীব অসহায় মানুষ আমি এত টাকা কি ভাবে দিব রিফাত হোসাইন সাহেব আমি দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং করে আসছি আমার সব কিছু ঠিকঠাক আছে তাহলে আমি এত টাকা কেন দিব সে বলে পরীক্ষায় যদি পাস হতে চান তাহলে ৮৫০০/ টাকা দিতে হবে, যদি টাকা না দেন তাহলে আপনাকে পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়া হবে। রিফাত হোসাইন ঠিক সেই কাজটাই আমার সাথে করেছেন। আমি এই দুইজন কে ঘুষ দেই নাই বিধায় আমাকে ফেল করে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আপনারা সাংবাদিক আপনারা জাতির বিবেক তাই আমার অভিযোগ আপনাদের জানিয়ে দিলাম আপনারা আমার এই অভিযোগটা আপনাদের পত্রিকায় তুলে ধরবেন যাতে আর কোন মানুষ এই কর্মকর্তাদের কাছে এসে ভোগান্তির শিকার না হতে হয়। রিফাত হোসাইন ৮ থেকে ১০ জন দালালদের দিয়ে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন। এই ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ যদি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ নিতে থাকে তাহলে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের আস্তা উঠে যাবে। রিফাত হোসাইনকে অনেক বার ফোন করা হয়েছিল কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেননি।

জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধানে দালালদের তালিকা প্রকাশ করা হলো, দালাল সিহাব, দালাল মামুন, দালাল মনির, দালাল মিথুন, দালাল আশিক, দালাল তানভীর, দালাল মুস্তাক, দালাল ইসানুর, দালাল বাপ্পা ও দালাল বিদ্যুৎ, এই ১০ দালালদের দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন এই কর্মকর্তা রিফাত হোসাইন এর ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়।

এই সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন খুলনা বিভাগীয় উদ্ধতন কর্মকর্তাসহ, যশোর বিআরটিএ র’ সকল কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও দালালদের মাধ্যমে লাইসেন্স সেকশন, ফিটনেস সেকশন পরীক্ষা হলের ভিতরে টাকা ছাড়া পাস হয় না। এর আগে ও অনেক বার দেখা গিয়েছে যে রেকর্ড রুমেও দালালদের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে রেকর্ড রুমের ভিতরে সাইফুল ইসলাম নামে এক দালাল ২০০৩ সাল থেকে দেখা শুনা করে আসছে। প্রত্যেক ডেক্স রুমের ভিতরে দালালদের দেখা গিয়েছে,এই দালালদের কাজ হলো সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন যাবত ঘুষ নিয়ে আসছেন। দালালদের দাপটে সরাসরি কোন কাজ করা যাচ্ছে না অফিসের সামনে গেলেই দালালদের মাধ্যমে কাজ করতে হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের নিকট অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি বলেন,যে যশোর বিআরটিএ র’ নিজ থেকে অফিসের ভিতর পর্যন্ত দালালদের দিয়ে বিভিন্ন কাজসহ অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে থাকেন।

সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিম গত দুই মাস যাবত যশোর বিআরটিএ র’অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে আসছেন। সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা অনুসন্ধানের ৩টি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখতে পান যশোর বিআরটিএ অফিসের ভিতরে যে খানে যাওয়া হয়েছে সেই জায়গাতেই দালালদের দেখা মিলেছে, তথ্য মোতাবেক অফিসের ভিতরে দালাল আর দালাল, দালাল ছাড়া কোন কাজ হয় না।

এই সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনসহ যশোর বিআরটিএ র’ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারী পর্যন্ত দালাল ছাড়া কোন কাজ করেন না, প্রত্যেক ডেক্স এর ভিতরে দালালদের বসিয়ে কাজ করানো হয়। সরকারি এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান তার ভিতরে শুধু দালাল আর দালাল সরকারি নিয়ম রয়েছে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে দালাল থাকতে পারবে না অথচ যশোর বিআরটিএ র’ রেকর্ড রুমের মত এত বড় একটা জায়গায় সেখানেও দালাল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকেন। অথচ রেকর্ড রুমের ভিতরে রেকর্ড কিপারকে দেখা যায় নাই। সেখানে দেখা গিয়েছে সাইফুল ইসলাম নামে এক দালালকে।

অফিসিয়াল লোক থাকা সত্ত্বেও দালাল দিয়ে এই ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলছেন রিফাত হোসাইনসহ অনেকে। সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়েছে তবে সে ফোন রিসিভ করেননি। যশোর বিআরটিএ র’ দালালদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন এই সাইফুল ইসলাম কে এই সাইফুল ইসলাম যে যশোর বিআরটিএ র’ সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত কোন লোক না তাহলে কেন এই সাইফুল ইসলাম রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি অফিসে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে অথচ দেখার কেউ নেই। তাহলে কি যশোর বিআরটিএ র’ কর্মকর্তারা এবং খুলনা বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এই ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।

দালাল দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য তৈরি করে রেখেছেন এই রিফাত হোসাইন। সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকরা কর্মকর্তাদের কাছে দালালদের বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে কোন কথা বলতে তারা ইচ্ছুক নন পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলে ও ফোন রিসিভ করেননি। রিফাত হোসাইন তিনি যশোর বিআরটিএ র’ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তার আন্ডারে রয়েছে ৮ থেকে ১০ দালাল লাইসেন্স থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ দালালদের মাধ্যমে হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।

এই সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনকে দালালেরা যা বলে সে তাই করে।

লাইসেন্স ও ফিটনেস বিহীন গাড়িকে ফিটনেস বলে পাস করে দিয়ে থাকেন। রিফাত হোসাইন, সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকাকে বলেছেন যে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করে যদি কিছু করতে পারে তাহলে করুক দেখি আমার কি করতে পারে সে আরো বলছে এর পর যদি আমার নামে কোন নিউজ প্রকাশ করা হয় তাহলে সাংবাদিকের হাত পা ভেঙে দেয়া হবে, একজন সরকারি কর্মকর্তা যে অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন দালালের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে কাজ করেন রিফাত হোসাইন, সে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের আলোচনা করছেন।

যে কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নেয়া তার পেশা সে একটা জাতীয় পত্রিকাকে এই ধরনের কথা বলেছেন তা জাতির জন্য লজ্জাজনক ঘটনা এই ধরনের ঘটনা যদি সরকারি দপ্তরের ভিতরে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা কোথায় থাকবে। যশোর বিআরটিএ র’ রেকর্ড রুম থেকে শুরু করে সব জায়গায় দালাল আর দালাল দিন দিন দালালের দৌড়ত্ব বেড়েই চলেছে কোন ভাবেই দালালদের দৌড়ত্বের লাগাম টানা যাচ্ছে না, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে দালালদের দৌরত্ব। যত দ্রুত সম্ভব যশোর বিআরটিএ র’ দালালদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

বর্তমান সংকটের সমাধান নবীজির শিক্ষা সম্পাদকীয় আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র, অনন্য ও শিক্ষণীয়। এ দিনে জন্ম নেন বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন। নবীজির আগমন ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সময়ে।বাংলাদেশ আজ গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস ফেলছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিভাজন, হানাহানি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর নৈতিক অবক্ষয়। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। দোকানের তাক থেকে চাল, ডাল, তেল—প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়েও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। তরুণ প্রজন্ম কাজের অভাবে হতাশ, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে মাদক, অপরাধ ও সহিংসতার প্রলয়।এই সংকটে আমরা ভুলে যাই সেই আলোর পথে, যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন—রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি এসেছিলেন এমন এক সমাজে, যেখানে গোত্রবিভাজন, মিথ্যা, নারীর অবমাননা, দারিদ্র্য, নিপীড়ন ও সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন সত্য, ন্যায়, দয়া ও মানবতার পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ বয়ে আনে।” আজকের বাংলাদেশে যদি আমরা তাঁর এই শিক্ষার অনুসরণ করি, তবে সমাজে স্বার্থপরতা, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।সাংবাদিকরা যখন সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতনের মুখোমুখি হন, তখন নবীজির শিক্ষা আমাদের শেখায়—সত্যের পথে থাকা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী হওয়া। তিনি বলেছেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো অন্যায় শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” সাংবাদিকরা দেশের ন্যায়বিচার রক্ষায় যে ভূমিকা রাখেন, তা নবীজির দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই মহৎ।রাজনীতিতেও আমাদের শিক্ষা প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য লড়াই, প্রতিশোধ, হিংসা—এগুলো জাতিকে ক্ষয় করছে। অথচ নবীজি মক্কা বিজয়ের দিন শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজকের নেতারা যদি তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতেন, সংলাপ ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত।অর্থনীতি এবং শ্রমিক অধিকারেও নবীজির শিক্ষা অসাধারণ। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করো।” শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসলের সঠিক দাম, প্রবাসীর রেমিট্যান্সের মর্যাদা—এসবই নবীজির শিক্ষার বাস্তবায়ন।নবীজির জীবন থেকে আমরা আরও শিখি মানবিক সহমর্মিতা। তিনি শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন, দুর্বলকে রক্ষা করেছিলেন। অথচ আমাদের সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্য বেড়েছে। দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—এসবই নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানেই শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়; বরং তা সামাজিক ন্যায়বিচার, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার যুগে এ শিক্ষা গ্রহণই পারে আমাদেরকে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে। আজ, ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই দিনটি কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন। যদি আমরা তাঁর জীবন ও শিক্ষাকে না বুঝি, তবে দুর্নীতি, সহিংসতা ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমরা সত্যিই তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি—রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাধারণ মানুষের জীবন সবক্ষেত্রে—তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির দেশ। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কেবল ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও কর্মপ্রেরণার দিন। নবীজির (সা.) শিক্ষা বাস্তবায়ন করলেই— রাজনৈতিক সংকট কাটবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে সুষম বণ্টন ও জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে সহনশীলতা ও মানবপ্রেমের মাধ্যমে। আজকের আহ্বান: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে—সংকটমুক্ত জাতি গড়ার একমাত্র পথ তাঁর জীবন ও শিক্ষার অনুসরণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত— রাজনৈতিক নেতা হোক ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ণ, অর্থনীতির নিয়ম হোক ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত, সাংবাদিক হোক সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ, সাধারণ মানুষ হোক সততা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা—এটাই হতে পারে আমাদের দেশের অন্ধকার থেকে মুক্তির একমাত্র আলো। আমরা বিশ্বাস করি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিশ্ব, বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ, দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও অস্থির তরুণ প্রজন্ম—সব সমস্যার সমাধান রয়েছে নবীজির দেখানো পথে। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। কেবল তখনই মানবতা সত্যিকারের মুক্তি পাবে।আজকের পৃথিবী যেন নানা সংকটে ঘেরা—যুদ্ধ, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয়—এসব আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মুসলিম বিশ্বও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। অথচ আমাদের সামনে রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক যুগে আগমন করেছিলেন, যখন আরব সমাজ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। গোত্রবাদ, অবিচার, নারী নিপীড়ন, মিথ্যা প্রতিযোগিতা আর সহিংসতায় জর্জরিত ছিল গোটা সমাজ। ঠিক সেখানেই তিনি ন্যায়, সাম্য, দয়া, ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার আচার-আচরণে উত্তম।” আজকের সমাজে এই বাণীই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সংকটে আমরা দেখি—ক্ষমত

বর্তমান সংকটের সমাধান নবীজির শিক্ষা সম্পাদকীয় আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র, অনন্য ও শিক্ষণীয়। এ দিনে জন্ম নেন বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন। নবীজির আগমন ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সময়ে।বাংলাদেশ আজ গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস ফেলছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিভাজন, হানাহানি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর নৈতিক অবক্ষয়। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। দোকানের তাক থেকে চাল, ডাল, তেল—প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়েও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। তরুণ প্রজন্ম কাজের অভাবে হতাশ, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে মাদক, অপরাধ ও সহিংসতার প্রলয়।এই সংকটে আমরা ভুলে যাই সেই আলোর পথে, যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন—রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি এসেছিলেন এমন এক সমাজে, যেখানে গোত্রবিভাজন, মিথ্যা, নারীর অবমাননা, দারিদ্র্য, নিপীড়ন ও সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন সত্য, ন্যায়, দয়া ও মানবতার পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ বয়ে আনে।” আজকের বাংলাদেশে যদি আমরা তাঁর এই শিক্ষার অনুসরণ করি, তবে সমাজে স্বার্থপরতা, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।সাংবাদিকরা যখন সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতনের মুখোমুখি হন, তখন নবীজির শিক্ষা আমাদের শেখায়—সত্যের পথে থাকা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী হওয়া। তিনি বলেছেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো অন্যায় শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” সাংবাদিকরা দেশের ন্যায়বিচার রক্ষায় যে ভূমিকা রাখেন, তা নবীজির দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই মহৎ।রাজনীতিতেও আমাদের শিক্ষা প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য লড়াই, প্রতিশোধ, হিংসা—এগুলো জাতিকে ক্ষয় করছে। অথচ নবীজি মক্কা বিজয়ের দিন শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজকের নেতারা যদি তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতেন, সংলাপ ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত।অর্থনীতি এবং শ্রমিক অধিকারেও নবীজির শিক্ষা অসাধারণ। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করো।” শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসলের সঠিক দাম, প্রবাসীর রেমিট্যান্সের মর্যাদা—এসবই নবীজির শিক্ষার বাস্তবায়ন।নবীজির জীবন থেকে আমরা আরও শিখি মানবিক সহমর্মিতা। তিনি শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন, দুর্বলকে রক্ষা করেছিলেন। অথচ আমাদের সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্য বেড়েছে। দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—এসবই নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানেই শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়; বরং তা সামাজিক ন্যায়বিচার, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার যুগে এ শিক্ষা গ্রহণই পারে আমাদেরকে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে। আজ, ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই দিনটি কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন। যদি আমরা তাঁর জীবন ও শিক্ষাকে না বুঝি, তবে দুর্নীতি, সহিংসতা ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমরা সত্যিই তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি—রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাধারণ মানুষের জীবন সবক্ষেত্রে—তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির দেশ। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কেবল ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও কর্মপ্রেরণার দিন। নবীজির (সা.) শিক্ষা বাস্তবায়ন করলেই— রাজনৈতিক সংকট কাটবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে সুষম বণ্টন ও জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে সহনশীলতা ও মানবপ্রেমের মাধ্যমে। আজকের আহ্বান: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে—সংকটমুক্ত জাতি গড়ার একমাত্র পথ তাঁর জীবন ও শিক্ষার অনুসরণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত— রাজনৈতিক নেতা হোক ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ণ, অর্থনীতির নিয়ম হোক ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত, সাংবাদিক হোক সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ, সাধারণ মানুষ হোক সততা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা—এটাই হতে পারে আমাদের দেশের অন্ধকার থেকে মুক্তির একমাত্র আলো। আমরা বিশ্বাস করি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিশ্ব, বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ, দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও অস্থির তরুণ প্রজন্ম—সব সমস্যার সমাধান রয়েছে নবীজির দেখানো পথে। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। কেবল তখনই মানবতা সত্যিকারের মুক্তি পাবে।আজকের পৃথিবী যেন নানা সংকটে ঘেরা—যুদ্ধ, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয়—এসব আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মুসলিম বিশ্বও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। অথচ আমাদের সামনে রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক যুগে আগমন করেছিলেন, যখন আরব সমাজ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। গোত্রবাদ, অবিচার, নারী নিপীড়ন, মিথ্যা প্রতিযোগিতা আর সহিংসতায় জর্জরিত ছিল গোটা সমাজ। ঠিক সেখানেই তিনি ন্যায়, সাম্য, দয়া, ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার আচার-আচরণে উত্তম।” আজকের সমাজে এই বাণীই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সংকটে আমরা দেখি—ক্ষমত

এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com