মোঃ ইলিয়াস শেখ বিশেষ প্রতিনিধিঃ

১১৪ পটুয়াখালী -৪ আসনে একদল জনবিচ্ছিন্ন নমিনেশন প্রত্যাশি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু দ্বারা মিথ্যা মামলার রেফারেন্সে জনগণের স্বার্থ বিরোধী কুচক্রী একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজেদের ফায়দা হাসিলের লক্ষে জনপ্রিয় এ ব্যাক্তির নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে যা সাবেক প্রতিমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতা কমানোর অপকৌশল বলে নৌকা প্রিয় জনতার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী জননেতা আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র ও তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় অবস্থিত বিধায় জমির মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি জমি অবৈধভাবে দখল বা অনুপ্রবেশ করার জন্য ভূমিদস্যুরা কয়েক বছর ধরে অপচেষ্টা করে আসছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান তৎকালীন ভূমিদস্যুতা নিরসনে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কুয়াকাটা জমিজমা ক্রয়- বিক্রয় ও দখল বানিজ্য বন্ধ করে দেন। ফলে তখনকার ভূমিদস্যুরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেকেই তাঁর উপর নানাবিধ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী এলাকার জনগণের সকল দুঃখ দুর্দশায় সর্বদা পাশে থেকেছেন এবং অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বর্তমান জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে উল্লিখিত চক্রসহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জনগণের কাছে এবং দলকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভুল তথ্য সংবলিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশের চক্রান্ত করছে নৌকা কান্ডারী সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

কলাপাড়া উপজেলায় যাঁর হাতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সংগঠন গড়া। সুদীর্ঘ ৪০ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বার বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত এমপি ও বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর পিতা এ কে এম ইসমাইল তালুকদার কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে একাধারে ৩০ বছর সুনামের সাথে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক এই কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমানের জনপ্রিয়তা হ্রাস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত যা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের অভিব্যক্তি। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মতামত ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শ্রেষ্ঠ অবদান রেখেছেন এবং এ জনপদের রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান। যাঁর হাতে দল নিরাপদ, শক্তিশালী ও সুসংগঠিত রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ মনে করেন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের নৌকা কান্ডারী এই নেতাকে নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নিবে না। নেতাকর্মীরা উল্লেখ করেন ব্যক্তিত্ববান হিসেবে জনপ্রিয় এই নেতা স্থানীয় নির্বাচন যেমন- উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও তৃণমূলে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীকে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সঠিক ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করেছেন। যার সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ নৌকা প্রিয় জনতার কাছে রয়েছে। সামনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদারের বিকল্প নাই।

দক্ষিণ অঞ্চলের গরীব, দুঃখী সকল শ্রেণি পেশার নৌকা প্রিয় মানুষ ত্যাগী ও যোগ্য এই নেতার জন্য সর্বময় সফলতা কামনা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও মো. মাহবুবুর রহমানকে এমপি হিসেবে নৌকার জয় দেখতে চায়। দক্ষিণ অঞ্চল তথা পটুয়াখালী-৪ আসনের জনগণের আকুল আবেদন মাদার অফ হিউম্যানিটি উন্নয়নের অভিভাবক, ১৬ কুটি মানুষের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা, গণতন্ত্রের মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রিয় এলাকার জনগণের মনের বাসনা পূরণ করবেন।।