শিরোনাম :
চলো যায় পদ্মা বাঁচাই ,পদ্মার পানি বণ্টনের দাবিতে শিবগঞ্জে বি এন পি আয়োজনে বিশাল সমাবেশ ময়মনসিংহে শিয়ালের আক্রমণে নারী ও পুরুষ সহ আহত ২০ জন । পটুয়াখালী-৩ আসনে হাসান মামুনকে প্রার্থী না করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ রিটা রহমানকে বিএনপির নমিনেশনের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ হঠাৎ রেল লাইনের উপর ভেঙ্গে পড়ল ট্রেনের যন্ত্রাংশ , পাথরের আঘাতে আহত গেটম‍্যান ও পথচারীরা আটঘরিয়ায় পাটবীজ উৎপাদনকারি চাষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সানজিদা ইসলাম তুলি: এক সাহসী বোনের আন্দোলন, এক জাতির বিবেকের জাগরণ শত বছরের পুরাতন পুকুর ভরাটে প্রশাসনের নীরবতা, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী। আখাউড়ায় ৫৪৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার ঝিনাইদহ -০৪ আসনে কালীগঞ্জের মাটিতে অতিথি পাখির ঠাই নাই বললেন স্থানীয় নেতাকর্মী

বৃষ্টিহীন শ্রাবনে কৃষকের চোখে পানি ঝরার মাসে খড়া

আরিফ হাওলাদার
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২
  • ২২০ বার পঠিত

দেশের দক্ষিন অঞ্চল বৃষ্টিহীন শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের বীজতলা, ফেটে চৌচির চাষাবাদি জমি। চাষাবাদ বন্ধ গরুর হাল, পাওয়ার টিলার পড়ে আছে যত্রতত্র অকারন। প্রায় সারাদেশ সহ দেশের দক্ষিন অঞ্চলের পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, রাঙ্গাবালী, দুমকি,মির্জাগঞ্জ সহ সব যায়গায় ধান রোপনের সময়। সাধারনত পটুয়াখালী অঞ্চলে কৃষকগন শ্রাবন ভাদ্র মাসে ইরি সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করে থাকেন। কৃষকদের সবধরনের বীজ নির্দিস্ট সময়ে বড় হয়ে গেছে রোপন করার সময় অতিবাহিত হতে চলেছে। কৃষকগণ বলছেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের ওপর নারাজ হয়েছে কি না যানিনা তবে বর্ষার ভরা মৌসুমে যথাযথ পরিমান বৃষ্টি না থাকায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। বেশিরভাগ কৃষক বলছেন তাদের বীজতলাগুলো শুকিয়ে বীজ প্রখর রোদের তাপে প্রায় পুড়ে যাচ্ছে। “দৈনিক মাতৃজগত” সরেজমিনে বিস্তারিতভাবে যানতে পারে যে অনেক কৃষক মহাজনদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে, আবার স্বল্প আয়ের কৃষকেরা তাদের সঞ্চয় দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে কিন্তু নিয়তি তাদের স্বপ্ন আশা ধুলিস্যৎ করতে বসেছে। আবার অনেক কৃষকগন বলছেন যদিও একটু নদীনালা বা খাল থেকে পানির সেচ দেব তাও এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা খালে ঘন ঘন বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি খালগুলো দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়েছে অথচ কৃষক ভরা মৌসুমে পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারছে না। অনুসন্ধানে আরো দেখা যায় উল্লেখিত বিভিন্ন এলাকার খালগুলোতে ছোট বড় কালভার্ট থাকলেও তার একটিতেও পানি ওঠানো এবং নামানোর জন্য কোন কপাট নেই। মানুষ প্রয়োজনে পানি ধরে রাখতে পারছেনা আবার অপ্রয়োজনে উচ্চ পানির চাপ কমাতেও পারছেন না। গলাচিপা উপজেলার কৃষকগন উপজেলা প্রশাসন কাছে ভক্তি ভরে প্রত্যাশা করছেন যেন আবাদি জমির পাশের সরকারি খালের অবৈধ বাধ গুলো কেটে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়। গলাচিপা উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার নিয়াজ খান বলেন, বৃষ্টি মূলত প্রকৃতির দান তার ওপর কারও হাত নেই তবে খালের বাঁধের বিষয়ে উপর্মহলের সাথে মাসিক সভার আলোচনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। অফিসার আরও বলেন এরকম ভরা শ্রাবনে ধারাবাহিক অনাবৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে ফসল উৎপাদনে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com