শিরোনাম :
ঝিনাইদহ ৩ আসনে জামায়াত নেতা প্রফেসর মতিয়ার রহমানের গনসংযোগ মনপুরা উপজেলায় নৌবাহিনী ও পুলিশের যৌথ চেকপোস্ট অভিযান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাইক শোডাউন ও লিফলেট বিতরণ ধামরাইয়ে সাহসী পুলিশ অফিসার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ পিস ইয়াবাসহ কুখ্যাত রিপন গ্রেপ্তার ঝিনাইদহে বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে ১৮শ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক ব্যক্তি আটক ঝিনাইদহের অকাল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় মাঠজুড়ে লণ্ডভণ্ড পাকাধান বিপর্যস্ত কৃষকরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে প্রার্থী হতে নারাজ চিত্রনায়ক মেগাস্টার উজ্জ্বল ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির গণমিছিল: আহ্বায়ক আমিনুল হকের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার বিএনপি জনগণের দল বলেই মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে — লায়ন মো. হারুনুর রশিদ ফরিদগঞ্জের জনগণের প্রতি আমার অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস আছে — বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি লায়ন মো. হারুনুর রশিদ

রাজশাহীতে স্থির নেই; বেড়েছে মুরগি ও সবজির দামও মাছে আগুন

মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২
  • ২০০ বার পঠিত

মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু মফস্বল সম্পাদকঃ

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদির ফেলে ক্রেতারা ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছেন । শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১৮০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায় । কেজিতে পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়েছে , রসুনে ১৫ টাকা, শসায় ২০ টাকা, ৫০ টাকা বেগুনে । এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে দিনের পর দিন ।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীতে বেড়েছে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার রাজশাহীর মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে সকল প্রজাতির মাছে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা বেশি দরে ।

গত সপ্তাহের চেয়ে ৩০থেকে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মিরকা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা , রুই মাছ ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, পূর্বের দামের চেয়ে ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বাটা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, ৩০০ টাকা কেজিতে বৃদ্ধি পেয়ে চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা, ১৫০ টাকা বেড়ে পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা এবং ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে গুচি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজিতে।

রাজশাহীর মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, মাছের বাজারে আগুন লেগেছে। প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের দাম এতোটা বেশি হলে আমরা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষ হয়তো মাছ কিনে খেতে পারবো না কারণ আমাদের আয় রোজগারতো বাড়েনি।

মাছ বিক্রেতা জানান, চাহিদার তুলনায় মাছ সরবরাহ নাই। আড়তদারেরা মাছ দিচ্ছে না এবং আমাদের কাছে থেকে বেশি দাম নিচ্ছে।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরবহন খরচ বেশি হচ্ছে এ কারনেই বাইরে থেকে মাছ আমদানী কম হচ্ছে ।তার কারনেই দাম বেশি ।

শহরের বাজার ঘুরে দেখা যায় মুরগীর বাজারেও একই অবস্থা। ব্রয়লার মুরগী কেজতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায় , ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায় ।তবে অপরিবর্তিত রয়েছে দেশি মুরগির দাম, বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজিতে।

হঠাৎ বাজারে এসে দেখছি মুরগি কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেশি। মুরগির দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ হয়তো মুরগির মাংশ আর কিনে খেতে পরিব না।

মুরগি বিক্রেতা জানান, আমদানি কম থাকার কারণে এ সপ্তাহে মুরগির দামটা বেশি। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেশি লাগছে তাই দামটা বেশি।

এছাড়াও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেড়েছে ডিমের দাম । গত সপ্তাহের চেয়ে হালিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা হালিতে। ডিম কিনতে আসা করিম মিয়া জানান, ডিমের দাম হালিতে হঠাৎ ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটা ডিমে ২ টাকার বেশি বৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায়না। সবকিছুর দাম বাড়ছে এ কারণে ডিম বিক্রেতারা এ সুযোগ নিয়েছে যা মেনে নেওয়ার মতো না।

এদিকে মাছ, মুরগি ও ডিমের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সবজির দাম। ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে,গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে করোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা , এ সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেশি, পেয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা , ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এ সপ্তাহে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়া প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সবজি ক্রেতা জানান, প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে এসে অবাক হয়ে যাচ্ছি। এভাবে যদি দাম বাড়তে থাকে তাহলে হয়তো আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষের সবজি কেনা এখন সামর্থের বাইরে । সবকিছুর দাম বেড়েছে কিন্তু আয়তো বাড়েনি।

সবজি বিক্রেতারা জানান, আমাদের মালের আমদানি কম এ কারনে প্রতিটি সবজির দাম বেশি। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারনে পরিবহন খরচ বেশির কারনে সবজির দাম বেড়েছে।

এছাড়া বাজারে গরুর মাংশ দাম না বাড়লেও বেড়েছে খাসির মাংসের দাম।হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজিতে এবং খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা কেজি দরে। মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায় মুদিপণ্যের দাম স্থিতীশীল রয়েছে

মুদি দোকানদাররা জানান, এখন পর্যন্ত তেলের দাম আমরা বাড়াইনি। পূর্বের মূল্যেই আমরা সয়াবিন তেল বিক্রি করছি তবে কয়েকদিনের মধ্যে তেলের দামও বেড়ে যাবে।

যে ট্রাক ১২-১৪ হাজার টাকায় নেওয়া যেতো সেটি এখন ১৮-২০ হাজার টাকা। এছাড়া মোকামেও দাম বেশি সব ধরনের কাঁচামালের । আমরা বেশি দামে কিনে পরিবহন খরচ যুক্ত করে বিক্রি করি খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ।

এক ক্রেতা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে কষ্টকর হয়ে উঠবে জীবনধারণ । ওঠানামা করছে কাঁচামরিচের দাম । শুধু মরিচ নয় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সব ধরনের পণ্যের । দাম বাড়ছে পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মালামাল আমদানি অভাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com