শিরোনাম :
ময়মনসিংহে দুই পৃথক হত্যাকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক রায় বগুড়া শেরপুর সীমাবাড়ী ইউনিয়নে যুবদলের ও ছাত্রদলের নির্বাচনী প্রচারণা ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিজয়নগরে প্রবাসীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। রংপুর মহানগরের বুড়ীরহাটে, রায়হান সিরাজীর নির্বাচনী অফিস মির্জাপুরে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫৬ তম টিআরসি ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে তানোরে ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম পরিদর্শনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. চিত্রলেখা নাজনীন আমজনতার দলকে নিবন্ধনের আহ্বান ড. এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশের তারেক রহমানের নেতৃত্বে বগুড়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা আর কেউ করেনি — ভিপি সাইফুল

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রামজীবন ইউনিয়নের পূর্ব রামজীবন গ্রামে সরকারের খাস জায়গায় ছাপড়া ঘরে দিন কাটছে বৃদ্ধ দম্পতির।

রানা ইস্কান্দার রহমান।
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২
  • ২১৫ বার পঠিত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রামজীবন ইউনিয়নের পূর্ব রামজীবন গ্রামে সরকারের খাস জমিতে প্রায় ২৬ বছর ধরে বসবাস করেন জেলেখা বেগম (৭০) ও তার স্বামী খলিলুর রহমান (৭৫)। এই বৃদ্ধ বয়সেও জীবিকার সন্ধানে ছুটে চলেন এদিক-সেদিক। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ভালোভাবে ঘুমাবেন সেটিও পারেন না। কারণ খড়ের বেড়া ছাপড়া ঘরে রাত কাটে তাদের আতঙ্কে।

ঘরের ছাউনি ও বেড়া ভাঙাচোরা, বর্ষায় কিংবা বৃষ্টির দিনে পানি ঢুকলেও দিন শেষে রাতে ওই ভাঙাচোরা ঘরেই থাকতে হয় তাদের। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাস হলেই ঘরটি দুলতে শুরু করে। ঘরে আসবাব বলতে আছে একখানা পুরাতন ভাঙা চৌকি।

নেই কোনো স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট কোনো বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও। দারিদ্রতা আর অভাব অনটনের কারণে থাকার ঘরটিও মেরামত করতে পারছেন না তিনি।

খলিলুর রহমান জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে দিনমজুরির কাজ করলেও তার অভাব-অনাটন পিছু ছাড়েনি কখনো। ভাঙা ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে খুব কষ্ট করে জীবনযাপন করছেন।স্ত্রী জেলেখা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সমাজের বিত্তবানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে অনেকবার গিয়েছিলাম শুধুমাত্র একটি ঘরের জন্য। কেউ কোনো ব্যবস্থা করে দেয়নি। এখন যে ঘরে আছি, সেটা বসবাসের উপযোগী নয়। একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে, বাতাস উঠলে ঘর হেলেদুলে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খলিলুর রহমান ও তার স্ত্রী জেলেখা বেগম পূর্ব রামজীবন গ্রামে সরকারি খাস জমিতে প্রায় ২৬ বছর ধরে বসবাস করেন। তাদের সাথে আরও অর্ধশতাধিক ভূমিহীন পরিবার ছিলেন ওই খাস জমিতে। পরবর্তীতে ওই খাস জমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর উত্তোলন হয়। তার প্রতিবেশিরা ঘর পেলেও তিনি ঘর পাননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি কেবলমাত্র অবগত হলাম। খতিয়ে দেখে তাকে খুব শীঘ্রই ঘর দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com