শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় নতুন পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস মিরপুর দুয়ারিপাড়ায় সাংবাদিক এস. এম. রফিককে প্রাণনাশের হুমকি: বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা: লোকাল বাসের সাথে পাখি ভ্যানের সংঘর্ষে আহত ২ জন গলাচিপায় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত শিল্পীরা কালীগঞ্জে চুরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগে জরিমানা রূপনগর হাই স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে খেলাধুলা অপরিহার্য – আমিনুল হক ছড়াকার সুকুমার রায়ের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত ঘুষ ও দালাল চক্রের ভিডিও ধারণের সময় সংবাদকর্মীর মোবাইল ছিনিয়ে নিলেন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রেস বিজ্ঞপ্তি ৪০ বছর পর জামায়াত নেতার হাতধরে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তির অবসানের বার্তা।

বাউফলে ভাগ্নীকে ধরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, বিচার চাইতে গিয়ে গ্রাম ছাড়া মা-মেয়ে ও জামাই

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২২৯ বার পঠিত

অরবিন্দু দাস জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মামার চুরির অপরাধে সদ্য বিবাহিত ভাগ্নীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাত ৯ থেকে ১টা পর্যন্ত সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিচার চাইতে ভাগ্নীর মা তাসলিমা বেগম পায়তারা করলে প্রভাবশালীর মহলের চাপ সৃষ্টিতে এখন গ্রাম ছাড়া ওই পরিবার বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। তারা এখন বাড়ি ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৫ই সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বিলবিলাস গ্রামে। জানা গেছে, ভুক্তভোগী তার পরিবার নিয়ে ভয়ে গত বুধবার (৬ই সেপ্টেম্বর) থেকে বাড়ি গ্রাম ছেড়ে ঢাকা চলে গেছেন।

একাধিক সূত্রে, সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানান, বাউফল থানা ব্রিজের ঢালে কাচা মালের ব্যাবসায়ী আল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকতো পূর্ব বিলবিলাস গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফিক। শফিক ওখানে থেকে আল ইসলামের ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা ভাড়া চালাতো। শফিক সেই অটোরিকশা বিক্রি করে এবং একটি ছাগল চুরি করে নিজের বাড়ি বিলবিলাস চলে আসে। মঙ্গলবার (৫ই সেপ্টেম্বর) সকালে কাচামাল ব্যবসায়ী বাড়ির মালিক আল ইসলাম ও তার ছেলে ইব্রাহিম শফিক কে খুজতে এবং মালামাল উদ্ধার করতে শফিকের বাড়িতে আসে। পূর্বেই আল ইসলাম ও তার ছেলে ইব্রাহিম স্থানীয় চৌকিদার শামীম কে খবর দিয়ে সাথে করে নিয়ে আসেন। পরে শফিকের বোন তাসলিমা বেগমের ঘর থেকে চুরি হওয়া ছাগল উদ্ধার করে নিয়ে চলে যায়। তবে শফিক পলাতক থাকায় তাকে ধরতে না পেরে ছাগল নিয়ে চলে যান তারা। পুনরায় একইদিন (মঙ্গলবার) রাত ৮টার দিকে আল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম আরও দুই একজন ছেলেপান নিয়ে শফিকের বোন তাসলিমা বেগমের বাড়ি এসে শামীম চৌকিদারের সহযোগিতায় রাত ৯টার দিকে তাসলিমা বেগমের মেয়ে ওই সদ্য বিবাহিত শফিকের ভাগ্নী ও ভাগ্নী জামাই কে নিয়ে ইব্রাহিম বাউফল চলে যায়। এবং রাত ১টার দিকে ভাগ্নী ও ভাগ্নী জামাই বাড়িতে ফিরে আসে। পরে শুনতে পাওয়া যায় যে ভাগ্নী জামাই কে এক জায়গায় রেখে ভাগ্নীকে সংঘবদ্ধভাবে শারিরীক নির্যাতন করেছে।

স্থানীয় শামীম চৌকিদার বলেন, আল ইসলামের বাসায় ভাড়া থেকে শফিক নাকি তাদের ছাগল ও অটোরিকশা চুরি করে চলে এসেছে এমন খবর পেয়ে আল ইসলাম ও তার ছেলে ইব্রাহিম সহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শফিকের বোন তাসলিমা বেগমের ঘর থেকে চুরি হওয়া ছাগল উদ্ধার করা হয়। এবং পুনরায় ইব্রাহিম ওইদিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে শফিকের বাড়িতে আসলে সেখানে তাদের খবর পেয়ে আমিও উপস্থিত হই। এসময় ওই ভাগ্নী ও ভাগ্নী জামাই নাকি চোরের বাড়ি থাকবেনা তাই তাদের নিয়ে গিয়ে বাসস্ট্যান্ড জামাইয়ের ৩ জন লোকের কাছে তাদের বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসি। পরের দিন বুধবার সকালে আমাকে খবর দিয়ে ভাগ্নী ও ভাগ্নীর মা সহ জামাই জানায় যে ভাগ্নী কে নাকি নির্যাতন করা হয়েছে। তখন তাদের আমি বলেছি আপনারা আইনের আশ্রয় নিন।

ভাগ্নীর মা তাসলিমা বেগমের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কেঁদে ফেলে বলেন, আমার সর্বনাশ হয়েছে। কাচামাল ব্যবসায়ী আল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় শামীম চৌকিদারের মাধ্যমে রাতে প্রথমে আমার সদ্য বিবাহিত মেয়ে জামাই কে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জামাইয়ের মাধ্যমে মেয়েকে ডেকে নিয়ে তারা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছে। মেয়ে ও জামাই রাত ১টার দিকে বাড়ি ঢুকে ধর্ষণের কথা জানায়। এব্যাপারে আমি বিচার চাইতে থানায় যেতে পারছিনা। বাবুল কমিশনার নাকি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আমাদের বাধা বিপত্তি করেন। আমি বিচার চাই, বিচার চাই।

এব্যাপারে বাবুল কমিশনার বলেন, তেমন কিছু না। বিষয়টি হলো টাকা চুরির বিষয় নিয়ে। এখানে ধর্ষণের মতো কিছু ঘটেনি।

কাচামাল ব্যবসায়ী আল ইসলামের কাছে সরেজমিনে ঘটনার কথা জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলে বিষয়টি এড়িয়ে চলে যান।

ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে কাচামাল ব্যবসায়ী আল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিমের কাছে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলায় কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, এমন ঘৃন্য কাজ আমি ভাবতেই পারিনা। আমি এই মুহূর্তে ঢাকাতে আছি। তবে অপরাধী যেইই হোক না কেন সে অপরাধের সাজা পাক এটাই আমার কামনা।

এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, এব্যাপারে এখনো কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সত্যতা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com