শাহিনুল ইসলাম লিটনঃ
রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির আয়োজনে রেলের অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণকমিটির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনে চিলমারী কমিউটার ট্রেন আটকিয়ে তারা মানববন্ধন করে।
এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি প্রভাষক আব্দুল কাদের। বক্তৃতায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি কলামিস্ট নাহিদ হাসান বলেন, দরিদ্রতম জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামবাসী রাজধানীর সাথে একদিকে দূরত্বের কারণে ভুগছে। এখন থেকে ভাড়াও বাড়তি দিতে হবে। পুরো রংপুর বিভাগকে নাটোর, চাটমোহর ঘুরে আসতে হয়। বগুড়া -সিরাজগঞ্জ লাইন চালু হলে বাড়তি ১২২ কি. মি. বাঁচতো। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সাথে যোগাযোগ ফ্রী হওয়ার। এই ভাড়া বৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধের সাথে বেঈমানী।
জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতির দায় জনগণ কেন বহন করবে। বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বেশি করা মানে রেলকে আরও লোকসানি খাতে পরিণত করা।সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, মালামাল পরিবহন ও গোডাউনের সাথে রেল বিচ্ছিন্ন করে রেলকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেল আর তার দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের ওপর।সভাপতির বক্তৃতায় আব্দুল কাদের বলেন, রেলের কর্তৃপক্ষ ১৯ হাজার টাকার মাল ৩ লাখ টাকায়। পত্রিকায় নিউজ এসেছে, কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে রেলের ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। আর সেই দায় যাত্রীরা কেন বহন করবে। তিনি সারা দেশবাসীকে প্রতিবাদে শামীল হওয়ার আহ্বান জানান।
Leave a Reply