শিরোনাম :
আমতলীতে ছাগলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: তিনজন আহত, একজন বরিশাল মেডিকেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার কুমিল্লায় বসতঘরের সামনে টিনের ভেড়া দিয়ে পথ বন্ধ ভোগান্তিতে জামাল হোসেন পাটোয়ারীর পরিবার চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্ত মাহমুদ হাসান খান বাবুকে গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ঝিনাইদহে মানবিক আরএমও’র বদলিতে শৈলকূপা বাসি উদ্বেগ — এলাকাবাসীর দাবি, “অবিলম্বে অর্ডার বাতিল করা হোক” ‎চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতার প্রবাসীর স্ত্রীসহ বসবাসে গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি বগুড়া সদর-৬ আসনে তারেক রহমানের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে তরুণদের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েই গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছে রংপুরের প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া ও আজহারুল ইসলাম মান্নান,কার হাতে সন্ত্রাসমুক্ত,নিরাপদ জনপদ গড়া সম্ভব? যশোরের রুপদিয়া এলাকায় নাঈম নামে একজনকে ফার্মেসীতে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা

দিনাজপুর বিএডিসি অফিসে ১৮ বছর চাকরী জীবনে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মাহবুবা আক্তার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১২ বার পঠিত

মোঃ আব্দুল আজিম,স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দিনাজপুর সুইহারী শাখার নিয়োগ প্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর মাহবুবা আক্তার একই চেয়ারে গত ১৮ বছর চাকরি করে হয়েছেন শত কোটি টাকার মালিক। চাকুরীর বলে স্বামী আব্দুল কুদ্দুসের নামে নিয়মবহির্ভূত ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। ফলে অর্থনৈতিক বা অন্য কোন সমস্যার কারণে যে ডিলাররা বীজ সংগ্রহ করতে পারেন না তাদের এই বীজগুলো স্বল্প মূল্যে একাই সংগ্রহ করে চরা মুল্যে অন্য ডিলারের কাছে বিক্রি করে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করে প্রতি বছর হাতিয়ে নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা। আর এভাবেই তিনি গত ১৮ বছর যাবত একই চেয়ারে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে কয়েকজন ডিলার জানান, জেলায় মোট ডিলার রয়েছেন ৪৪৫ জন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন ডিলার আর্থিক বা অন্যান্য সমস্যার কারনে তাদের বরাদ্দকৃত বীজ সংগ্রহ করতে পারেন না। সেই বীজ গুলো কৌশলে স্বল্প মুল্যে অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মাহবুবা আক্তার নিজের স্বামীর নামে কিনেন। তিনি তার স্বামীর নামে ডিলারশিপ দেখিয়ে সরকারি এই দপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অন্য ডিলারের কাছে বিক্রি করে থাকেন। ফলে প্রান্তিক কৃষকরা সরকারি নির্ধারিত মুল্যে বীজ না পেয়ে বেশি দামে বীজ সংগ্রহ করেন। আর এভাবেই নামে বে নামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
ডিলারদের নাম সংশোধন করেও প্রচুর টাকা কামিয়েছেন এই নারী কর্মকর্তা মাহবুবা আক্তার। একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে কি ভাবে একই চেয়ারে ১৮ বছর কাটিয়ে দেন তা জানতে চায় সুশীল সমাজ। এই মাহবুবা আক্তার কম্পিউটার অপারেটর পদে দায়িত্ব পালন করে কালো টাকার বস্তা নিয়ে উপর মহলে তৎবির চালিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েছেন। এখানেই তিনি খ্যান্ত হননি বরং আলু বীজ বিক্রির অতিরিক্ত দায়িত্ব ও হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। একজন হয়ে যখন ৪টি চেয়ার নিজ দখলে রেখেছেন সেখানে তার নিজ খেয়াল খুশিমত কাজ করেন তিনি। তার সেই ভাবভংগি দেখলে মনে হয় তিনি এই অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তার চেয়েও অধিক ক্ষমতাপুর্ণ ব্যাক্তি তিনি।
এ ব্যাপারে উপ পরিচালক আব্দুর রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অপরদিকে মাহবুবা আক্তারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com