
মোঃ রাজন ইসলাম: রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আকতার নাহান। পেশায় একজন ব্যাবসায়ী। ব্যাবসায়ী কাজে গত ৩০ জুলাই তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরই মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সাংগঠনিক ভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লাগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
শোকের মাস আগষ্ট। এই মাসে যুবলীগের এই প্রভাবশালী নেতার কক্সবাজার সফরকে কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম “আনন্দ ভ্রমণ” নাম দিয়ে চটকদার ও রসালো সংবাদ আকারে প্রকাশ করে। আদোতে উক্ত গণমাধ্যম গুলোতে ব্যবহৃত ছবি ও প্রকাশিক সংবাদের নেই কোনো সত্যতা। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কাজে আমি গত ৩০ জুলাই কক্সবাজার আসি। ঐদিনের কাজ শেষে সমুদ্রে কিছু সময় অতিবাহিত করি। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হয়। ঐ ছবিটি নিয়ে একটি কুচক্রী মহল শোকাবহ আগস্ট মাসে আনন্দ ভ্রমণ বলে মিথ্যাচার করছেন। বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি এরুপ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আমি বহু সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। আমার রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্মানহানি ও কুৎসা রটনার জন্য একটি মহল মিথ্যাচার করছেন। আমি এবার রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী। সম্প্রতি কেন্দ্রে আমি সিভিও জমা দিয়েছি। এতে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে কক্সবাজারে জরুরি কাজে আসা বিষয়টিকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। সবে মাত্র শোকাবহ আগস্ট মাস শুরু। এখনো তেমন কোনো কর্মসূচি শুরু হয়নি। কর্মসূচি শুরুর পূর্বেই আমি দলীয় সকল কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করবো। অতি উৎসাহী হয়ে তারা কেনো মিথ্যাচার করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।
এধরনের অপপ্রচার যারা করেছেন তারা নিজ দায়িত্বে প্রতিবাদ না দিলে আদালতের শরনাপন্ন হবো। এবিষয়ে নগর যুবলীগের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হয় মাতৃজগত পত্রিকা কে বলেন, জরুরি কাজ সবারই থাকতে পারে। কাজে গিয়ে কেউ মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডের শিকার হওয়া উচিত নয়। তিনি সত্যি যদি কাজে গিয়ে থাকেন তাহলে সেটা নিয়ে এতো উৎসাহী হওয়ার কিছু নেই। আর শোকাবহ আগস্টের কর্মসূচি এখনো শুরু হয়নি। কর্মসূচি শুরুর পূর্বেই তিনি রাজশাহীতে আসবেন। এছাড়াও তিনি আগস্ট মাসের পূর্বেই তাঁর কাজে গিয়েছেন। এটা নিয়ে মিথ্যাচার করার কি আছে। দলীয় ইমেজ নষ্ট করতেই এমন করা হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।
Leave a Reply