শিরোনাম :
ময়মনসিংহে দুই পৃথক হত্যাকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক রায় বগুড়া শেরপুর সীমাবাড়ী ইউনিয়নে যুবদলের ও ছাত্রদলের নির্বাচনী প্রচারণা ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিজয়নগরে প্রবাসীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। রংপুর মহানগরের বুড়ীরহাটে, রায়হান সিরাজীর নির্বাচনী অফিস মির্জাপুরে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫৬ তম টিআরসি ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে তানোরে ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম পরিদর্শনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. চিত্রলেখা নাজনীন আমজনতার দলকে নিবন্ধনের আহ্বান ড. এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশের তারেক রহমানের নেতৃত্বে বগুড়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা আর কেউ করেনি — ভিপি সাইফুল

এডিসি লাবনীর মৃত্যু: কি আছে তাতে? আদালতে প্রতিবেদন জমা দিল পুলিশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২
  • ২১০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি খন্দকার লাবনীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। তাতে লাবনী আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেই রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিলুফা ইয়াসমিন এই প্রতিবেদন দেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাবনীর মরদেহ উদ্ধারের পর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। তিন সপ্তাহের বেশি সময় তদন্তের পর ১৪ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

 

এদিকে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এসেছে, তিনি (লাবনী) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাছাড়া ঘটনার সময়ে পাওয়া বিভিন্ন আলামতেও এমনই তথ্য মিলেছে। তদন্ত কর্মকর্তা এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

 

এসআই নিলুফা ইয়াসমিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তদন্ত শেষে আমরা রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এসেছে তিনি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’

 

প্রেমঘটিত কোনো ব্যাপার তদন্তে পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে নিলফা বলেন, ‘এটা আমি দেখিনি। কেএমপির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।’

 

গত ১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবনী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সারঙ্গদিয়া গ্রামে তার নানাবাড়িতে ছিলেন।

 

ধারণা করা হয়, ঘটনার দিন গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন লাবনী। তার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। সকালে ডাকাডাকিতে তার সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লাবনীর কলহ চলছিল উল্লেখ করে তার বাবা শফিকুল আজম বলেছিলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না বলেই আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’

 

একই দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাগুরা পুলিশ লাইন্সের পুলিশ ব্যারাকের চারতলা ভবনের ছাদে নিজের শর্টগানের গুলিতে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল এডিসি লাবনীর দেহরক্ষী হিসেবে প্রায় দেড় বছর দায়িত্ব পালন করেন। আত্মহত্যার ঘটনার দুই মাস আগে মাহমুদুল বদলি হয়ে মাগুরায় আসেন।

 

শনিবার মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এডিসি লাবনীর মৃত্যুর ঘটনায় যে অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল, তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’

 

আর কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এসেছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘সে আত্মহত্যা করেছে এমন প্রমাণ মিলেছে। আরও কিছু বিষয় যাচাই-বাছাই করে মাহমুদুলের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

 

এদিকে লাবনী ও মাহমুদুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সিআইডির ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। দুজনের মৃত্যুর পেছনে কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা তদন্তে কেএমপির পক্ষ থেকে কমিটি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একটি টিম কাজ করছে। একই দিন দুজনের আত্মহত্যার ঘটনা রহস্য ঘেরা বলে মনে করা হচ্ছে।

 

সূত্র বলছে, মাহমুদুল এডিসি লাবনীর দেহরক্ষী থাকাকালীন দুজনের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয়, যাকে প্রেমের সম্পর্ক বলা যায়। পরে মাহমুদুল হাসান মাগুরায় বদলি হয়ে গেলে তাদের সম্পর্কের ভাটা পড়ে। এ নিয়ে হয়তো মনোমালিন্য ছিল। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।

 

আত্মহত্যায় কারও প্ররোচনা কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কোনো ব্যাপার আছে কি না তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩০তম ব্যাচে পুলিশে যোগ দেন খন্দকার লাবনী। কুষ্টিয়া সদর সার্কেল ছাড়াও শেরপুর, ময়মনসিংহ এবং সবশেষ কেএমপির গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর তিনি এএসপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান।

আর মাহমুদুল কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। লেখাপড়া অবস্থায় প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন খুলনা মহানগর পুলিশে।

মাহমুদুলের বাবা এজাজুল হক খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ছেলে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে, তাকে তো আর পাব না। কদিন আগে শুনলাম পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এই নিয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com