গাজীপুরে বেড়েই চলেছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা
মোঃ রতন সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
বর্তমানে বাংলাদেশের লোড শেডিং এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। বাংলাদেশের সর্বমোট এত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।যার অধিকাংশই চুষে নিচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।যার ফলে দূর্ভোগ ও ভুগান্তিতে পরতে হয় , জনসাধারণের।
বাংলাদেশে প্রায় আনুমানিক ৪১ লক্ষের অধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা,ভ্যান ইজি- বাইক,মিশুক,দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
যার মধ্যে গাজীপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ২ লক্ষের অধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
গাজীপুর সরেজমিনে দেখা মিলে , গাজীপুরের মহাসড়কের আনাচে,কানাচে,অলিতে গলিতে চিপায় চাপায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ অটোরিক্সা বানানোর কারখানা। শ্রীপুর চৌরাস্তা এলাকায় পাল্লা – পাল্লি দিয়ে বানানো হচ্ছে এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
এসব অটোরিকশা চলাচল করার জন্য প্রয়োজন বৈদ্যুতিকসংযোগ।
তাছাড়া এসব অটোরিক্সাগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য গাজীপুরে গড়ে উঠেছে প্রায় (১৫/১৭) হাজার অটোরিক্সা গেরেজ।যার মাধ্যমে অটোরিকশাগুলো সারারাত চার্জ দিয়ে সারাদিন দাপিয়ে বেড়ায় ।
অধিক অটোরিক্সা চলাচলের জন্য যাতায়াতের ভুগান্তি কম হচ্ছে জনসাধারণের।
যেমন উপকৃত হচ্ছেন ,ঠিক তেমনি বিপদগ্রস্তও হচ্ছেন। কেননা এসব থ্রি হুইলার অটোরিক্সা চালকদের ,নেই কোনো প্রশিক্ষণ,নেই কোনো অভিজ্ঞতা।
যার ফলে বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনা।
আর এসব অটোরিক্সাগুলো শুধু অলি- গলিতেই নয়, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গাজীপুর বিভিন্ন মহাসড়কে। দূরপাল্লার যানবাহনের পাল্লা পাল্লি করে চলছে এসব অটোরিক্সা। প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও জনসাধারণের।
এলাকাবাসী নাইম খাঁন বলেন, গরীব ও অসহায় মানুষ রা অটোরিক্সা চালিয়ে, জীবিকা নির্বাহ করে।তিনি আরো বলেন, সরকারের উদ্দেগে এসব অটোরিক্সা চালকদের কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে প্রতিনিয়তই ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম নাসিম জানান গরীব ও অসহায় মানুষেরা এই অটোরিক্সা চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।তবে বর্তমানে যে হারে অটোরিক্সার পরিমাণ বেড়ে চলেছে তা প্রতিরোধ করতে হবে।তাছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্করা যাতে অটোরিক্সা না চালাতে পারে সেদিকে নজর বাড়াতে হবে। অন্যদিকে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্ট্যান্ড এর ল্যাইনম্যান কে সচেতন হতে হবে। কেননা প্রত্যেক স্ট্যান্ড এ যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক অটো- চালকদের কে চিন্হিত করে তাদের কে সাবধান করতে হবে । ফলে প্রতিনিয়তই ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাছাড়া প্রত্যেকটি স্ট্যান্ড এর অটোরিক্সাগুলো নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করার ব্যবস্থা করতে হবে । যাতে যামযট না লেগে থাকে।
Leave a Reply