শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় নতুন পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস মিরপুর দুয়ারিপাড়ায় সাংবাদিক এস. এম. রফিককে প্রাণনাশের হুমকি: বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা: লোকাল বাসের সাথে পাখি ভ্যানের সংঘর্ষে আহত ২ জন গলাচিপায় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত শিল্পীরা কালীগঞ্জে চুরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগে জরিমানা রূপনগর হাই স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে খেলাধুলা অপরিহার্য – আমিনুল হক ছড়াকার সুকুমার রায়ের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত ঘুষ ও দালাল চক্রের ভিডিও ধারণের সময় সংবাদকর্মীর মোবাইল ছিনিয়ে নিলেন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রেস বিজ্ঞপ্তি ৪০ বছর পর জামায়াত নেতার হাতধরে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তির অবসানের বার্তা।

নরসিংদীতে কৃষকের বালু বিক্রির টাকা আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান

ইতি খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩২ বার পঠিত

নরসিংদীতে কৃষকের বালু বিক্রির টাকা আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান

ইতি খানম, স্টাফ রিপোর্টার:

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে দলের প্রভাব বিস্তার করে কৃষকের বালু বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ধুকুন্দি চরে পার্শ্ববর্তী নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তোলা বালু কৃষকের জমিতে রাখা হয়। সেই বালুতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের চোখ পড়ে। প্রায় ২০ কানি জমির উপর রাখা কয়েক লাখ ফুট বালু চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী সারোয়ার হোসেন শাহিনের যোগসাজশে প্রায় ১কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ফেয়ার ইলেকট্রনিকস নামে এক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে বলে অভিযোগ করছেন।
ভুক্তভোগী সাইদ, হারিছুল হক, সাইফুল ইসলাম সহ একাধিক জমির মালিক বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের জমির পাশে নদী খননের সময় অতিরিক্ত বালু আমাদের জমিতে ফেলেন। ২৭/২৮ জনের জমিতে প্রায় ২০ কানি সম্পদের উপর এ বালু ফেলা হয়। গত কয়েকদিন আগে ইউপি চেয়ারম্যান ও শাহিন এসে বলেন রাস্তা নির্মাণে বালুর প্রয়োজন। রাস্তা নির্মাণের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, চেয়ারম্যান ও শাহিন ফেয়ার ইলেকট্রনিকস নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির কাছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় বালু বিক্রি করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যান ও শাহিন লোকলজ্জার ভয়ে ৭/৮ জন জমির মালিকে কিছু টাকা পরিশোধ করে। বাকি জমির মালিকরা তার কাছে বালু বিক্রির টাকা চাইতে গেলে তিনি দলের প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখান। এব্যাপারে আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় লোকজনকে মৌখিকভাবে জানালে সে আরও বেশি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমরা আমাদের বালু বিক্রির টাকা ফেরত চাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, সেনাবাহিনী নদী খননের সময় অতিরিক্ত বালু সাইদ, সাইফুল, শাহিন, হারিছুল সহ ২৭/২৮ জনের জমিতে ফেলা হয়। চেয়ারম্যান ও শাহিন মিলে রাস্তা নির্মাণের কথা বলে তাদের জমি থেকে বালু গুলো নিয়ে যায়। পরে শুনি ওই বালু স্যামসাং কোম্পানির ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের কাজে বিক্রি করে দেয়। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে পরে কৌশলে চেয়ারম্যান কিছু মালিককে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখেন।
এ বিষয়ে সারোয়ার হোসেন শাহিনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিনিধি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি বালু বিক্রির সাথে জড়িত না। বালু বিক্রির সম্পূর্ণ টাকা সকলকে পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার জমির বালু বিক্রির ভাগের টাকা আমি পেয়েছি। যারা টাকা পাইনি বলে অভিযোগ করছেন তারা চেয়ারম্যানের কাছে গেলেই হয়। আর চেয়ারম্যান তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসবে না।
কে এই সারোয়ার হোসেন শাহিন? জানা যায় তিনি ২০০২ সালে মরজাল ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক মাধবদী শাখায় কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার সত্যতা জানতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের মুঠোফোনে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন। পরে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com