শিরোনাম :
ঝিনাইদহে সদর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে নতুন বার্তা দিল ডাকসু নির্বাচন আমিনুল হক: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে নিশ্চিত করা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা -ডিবি কতৃক ০৮ কেজি গাঁজা সহ ০২ জন মহিলা মাদক কারবারারী গ্রেফতার। শ্রীপুরে ওষুধের দোকান মালিককে হত্যার ৮ মাস পর প্রধান আসামি রুবেল সহ ৩ যুবক গ্রেপ্তার। শ্যামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ চাঁদপুরে কচুয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি গোপালপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন দৈনিক মাতৃ জগত পত্রিকা সিনিয়ার স্টাফ রিপোর্টার রংপুর থেকে নীলফামারী আসার পথে মোটরসাইকেলে এক্সিডেন্ট হয় বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় সিনিয়র শিক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবির কে ঘোড়ার গাড়ী দিয়ে রাজকীয় বিদায়ী সংবর্ধনা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত পহেলা নভেম্বর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন ঝিকরা ইউনিয়নের পিরুলী সেনপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুর রহমান। প্রতিবাদে তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

আমি রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, এ্যডিশনাল পি পি মো. মাসুদ সরদার এর সহকারী হিসেবে সততার সহিত দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছি। আমার বাবা সাইফুল ইসলাম ও শশুর মোজাফফর হোসেন এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি। আমি ও আমার পরিবার আওয়ামী লীগ দল কখনোই করিনি এবং সমর্থনও করিনা। কিন্তু ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকাশিত খবরে আমার পেশাকে কলুষিত করেছে। সেই সাথে আমার পরিবারকে বিগত স্বৈরাচার সরকারের দলের সাথে জড়িত বলে বংশীয় সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পরে অনেক বেপরোয়া ভাবে এলাকায় চাঁদাবাজি, লুটপাট টেন্ডারবাজি শুরু হয়। গত ১৯ জানুয়ারি কহিতপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে লিটনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এদিকে প্রতিপক্ষ শহিদ চক্র মদাখালি বাজারে লিটনকে ঘিরে ফেলে এবং চাঁদা চেয়ে না পেয়ে লিটনকে মারধর করে। সেই সময় বাজারের স্থানীয় লোকজন শহিদ চক্রকে গণধোলায় দিয়ে পুলিশে হাতে তুলে দেয়। কিন্তু ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ টাকার বিনিময়ে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পায়। পরে ভুক্তভোগী লিটন আমার আইনজীবী মো. মাসুদ সরদারের মাধ্যমে গত ১৩ মে আমলী বাগমারা আদালতে শিপলু, শহিদ, ফিরোজ, আওয়াল, শাকিল মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ভুক্তভোগী লিটনসহ আমাকেও বিভিন্ন ভাবে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে যখন মামলা প্রত্যাহার করার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। মামলা প্রত্যাহার না করলে আমাকে ও আমার পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমার বাবা সরকারি লীজ নেয়া মাঠিয়াল নেয়া ছিল। আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে ৫ আগষ্টের আগেও শহিদ চক্র জোর করে মাছ ধরে। যা এলাকার সকলেই জানে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রমাণ আছে, প্রানভয়ে এলাকার সাধারণ জনগণ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলতে পারে না।

 

৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গন আভূথ্যানের পরে আমার বাবা লীজ নেয়া মাঠিয়ালে যেন তারা কোন প্রকার মাছ ধরতে না পারে সেজন্য আমার আইনজীবীর মাধ্যমে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা দায়ের করে। এই শহিদ সহ চক্রের সদস্য জাকির, সজীব, জাহাঙ্গীর আলম বাবুদের বিরুদ্ধে ১৪৪ জারি হয়। এ বিষয়ে আপোষ নিষ্পত্তির জন্য বসা হয়। স্বার্থ হাসিলের নিমিত্তে তারা এই মাঠিয়াল বিষয়ে গ্রামের মসজিদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা মসজিদের দাবি মত টাকা দিতে সবসময় আগ্রহী থাকা সত্বেও তাদের কথা মত ৩৮ হাজার টাকা মসজিদকে দেওয়ার কথা ওঠে। আমরা জমা দিলেও তারা মসজিদের ক্যাশে জমা দিয়েছে মাত্র ২৩ হাজার টাকা। আর ১৫ হাজার টাকা মসজিদে জমা না দিয়ে কিছু অসাধু চক্র আত্বসাত করে। সেখানে আমি দাবি করেছিলাম আল্লাহর ঘর মসজিদে ৩৮ হাজার টাকা ক্যাশে জমা দেওয়া হোক। কিন্তু এই বিষয়ে কেউ কোন কথা বলেনি। এজন্য সেদিন কোন আপোষ নিষ্পত্তি হয়নি।

এই বিরোধকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কিছু সর্বহারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ভুল ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে আমার নামে চাঁদাবাজি লুটপাট ও জবরদখলের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনে।

আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, লুটপাট, জবরদখল তো দুরের কথা আমার জীবনে কোন দিন ১২ নং ঝিকরা তথা বাগমারা উপজেলার কোন লোক বলতে পারবে না যে আমি কাউকে উচু গলায় কথা বলেছি। আমি ২০১০ সাল থেকে রাজশাহীতে বসবাস করি। মাঝে মধ্যে গ্রামে আসি। আমার শশুর একজন কৃষক। তার ছেলে প্রবাসী। কোন সুদের ব্যবসা করেন না তিনি। মূলত শহিদের ভায়রা ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ হলো একজন সুদের ব্যবসায়ী । শহিদ চক্রের ফিরোজ সহ ৫ আগষ্টের ছাত্র জনতার ওপর ভবানীগন্জ সহ বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র তান্ডব চালিয়েছে। গন অভূত্থ্যানের ফলে তারা রাতারাতি ঢাকাতে গিয়ে আত্মগোপন করে।

কিছু দিন পর সর্বহারা শহিদ টাকার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার আসে। কিন্তু ফিরোজ এখনও আত্মগোপনেই আছে। এদিকে ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ এলাকায় না থাকলেও কিছু সংখ্যক লোক দিয়ে এখনও কালী বাজারে রমরমা সুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রেখেছে ।

 

আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবত ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্সে (জীবন বিমা) কাজ করেন তার বিষয়ে যে সকল অভিযোগের কথা বলা হয়েছে সে সব সম্পূর্ণ মিথ্যাওে বানোয়াট। আমার বাবা একজন সাধারণ মানুষ, আওয়ামীলীগ রাজনীতির কোন পদ তো দূরের কথা, কোনদিন আমি কিংবা আমার পরিবারের অন্য কোন সদস্য জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন সাপোর্ট করিনি। এমনকি কেউ বলতেও পারবে না। শুধুমাত্র সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা তথ্যর ভিত্তিতে এই নিউজ কিছু আওয়ামীলীগ দালাল চক্ররা করিয়েছে।

আমার শশুর দীর্ঘদিন ধরে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তিনি শুধুমাত্র আমার শশুর হওয়ার সুবাদে তাকে জড়িয়েও বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার এবং আমার পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে লীগের ট্যাগ লাগানোর সর্বহারা শহিদ চক্রের চাওয়া মামলাগুলো যেন প্রত্যাহার করে নিই। ৫ আগষ্টের আগে তারা ১২ নং ঝিকরা তথা বাগমারাবাসীর কাছে যেভাবে সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজি লুটপাট, জবরদখল করে নির্যাতন করেছে সেই কারনে আমার আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমা না করি সেই আতঙ্কে আমার পরিবার ও আমাকে রাজনৈতিক দলের পরিচয় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে বিকৃতি করে চরিতার্থ করার নিমিত্তে এই ভূয়া মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে আমাকে আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে পরিচয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com