
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী নগরীর প্রাণকেন্দ্র লক্ষীপুর জি. পি. ও. এর পাশে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চলছে ইমারত নির্মান। উক্ত বিবাদমান জমিতে ভবন নির্মান কাজ অব্যহত রাখার অভিযোগ উঠেছে মোছাঃ ইসরাত জাহান ও মুজিবর রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে। এরই সুষ্ঠ সুরাহা করতে ভূক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আলম খান ডাবলু ও তার পরিবারের লোকজন । উক্ত অভিযোগে ভুক্তভোগী রাজশাহী জেলার লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ার আলম খান ডাবলু জানান, ” অভিযুক্ত পক্ষ আমার বাড়ির উত্তর পাশ্ববর্তী মোছাঃ ইসরাত জাহান ও মজিবর রহমান দম্পতি ।
ভূক্তভোগী পরিবার জানান আমার চারতলা ভবনের পাশের ফাকা জায়গা অভিযুক্তদের তাহারা আরডিএ থেকে প্লান পাশ করে নির্মান কাজ শুরু করলে আমার ভবনটি হেলে পড়ে তখন আমি আরডিএ গিয়ে বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ করলে আরডিএ সরোজমিনে এসে দেখে বিবাদীদের লিখিত নোটিশ করে ভবন নির্মানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। উক্ত নোটিশে আরডিএ লিখিত ভাবে বলেন বিবাদীগন ভবন নির্মানের বিধি বিধান লংঘন করেছেন মর্মে উল্লেখ করেন।
ভূক্তভোগী পরিবার বলেন জেলা রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি অঃপ্রঃ মোকদ্দমা দায়ের করেন এ অবস্থায় আমরা সদর সহকারী জজ কোর্টে হেরে গেলে ন্যায় বিচারের জন্য মাননীয় জেলা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন উক্ত মামলাতেও হেরে গেলে সুবিচারের জন্য মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন মামলা নম্বর ৩৯৬/২০১৯ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে ২৯/০১/২০২০তারিখে উক্ত ভবনের সকল ধরনের নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং পরবর্তীতে ২৯/০১/২০২০ তারিখে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ রায় প্রদান করেন যে, উক্ত বিষয়ে জেলা রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ তাদের বর্তমান নিজ নিজ অবস্থানে স্থিতিবস্হা বজায় থাকবেন এবং মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
কিন্তু অভিযুক্ত পক্ষ কোন প্রকার হাইকোর্টের রায় ও আদেশ না মেনেই ভবন তৈরির কাজ দীর্ঘ্য ৬ মাস ধরে অব্যাহত রেখেছেন। তাদেরকে বারবার মৌখিকভাবে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা ভুক্তভোগীদের কথার কর্ণপাত না করে আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভবন নির্মাণের কাজ করে চলেছে, তাদের ভবন নির্মাণের কারণে ভুক্তভোগীর ক্ষতিগ্রস্ত হেলে পড়া ভবনটি যে কোন সময় ভেঙে পড়ে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটার আশংকাও রয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী আলম খান ডাবলু ও পরিবারের লোকজনেরা।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত২০২০ সালের ২৯শে জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা জারী করেন হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারক মহোদয়। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষগণ মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে রাজশাহী জেলা শহরের লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া জিপিওর পাশে বিবাদমান জমিতে অবৈধভাবে আরডিএ এর বিধি লংঘন করে ভবন তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি স্থানীয় রাজপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সরেজমিনে গিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের বেআইনী নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন কিন্তু অভিযুক্তরা তাহা কর্ণপাত না করে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে ভূক্তভোগী পরিবারকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অদশ্য শক্তি বলে ভবন তৈরি অব্যাহত রেখেছে। এতে আমি ও আমার পরিবার সহ প্রতিবেশীরা চরমভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছি। সর্বশেষে আদেশ অমান্য করে ইমারত তৈরির কাজ অব্যাহত রাখায় মিডিয়ার মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগের বিষয়ে মজিবর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি এ বিষয়টি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও ভূয়া বলে দাবী করেন।
Leave a Reply